ব্যুরো নিউজ,২২ নভেম্বর:ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া ( কোয়াড সদস্য দুটি দেশ) সাম্প্রতিক বছরগুলিতে একযোগে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে,যার ফলে উড়ান চলাকালীন মাঝ-আকাশে একটি বিমান থেকে অন্য বিমানকে জ্বালানি সরবরাহ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল এয়ার ফোর্স (র্যাফ) একে অপরকে মাঝ আকাশে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।
শনিবার দুপুরে বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু! ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে
বৃহস্পতিবার, লাওসে আয়োজিত এক বৈঠকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট কনরয় এই চুক্তির ঘোষণা করেন।বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসিয়ান দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আলাদা করে রাজনাথ সিং এবং প্যাট কনরয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন।চুক্তির আওতায়, অস্ট্রেলিয়ার এয়ার-টু-এয়ার জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান, কেসি ৩০এ-র মাধ্যমে ভারতীয় বিমানগুলিতে জ্বালানি ভরা যাবে। এর ফলে, ভারতীয় নৌবাহিনীর পি-৮১ নেপচুন নজরদারি বিমানও মাঝ আকাশে জ্বালানি নিতে সক্ষম হবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই চুক্তি দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করবে।
বাংলাদেশি ছবি ও প্রতিনিধিরা ব্রাত্য কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে এয়ার ভাইস-মার্শাল হার্ভে রেনল্ডস এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ভারত আমাদের শীর্ষ নিরাপত্তা সহযোগী এবং এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আমরা প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তি দুদেশের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে,যা বৃহত্তর ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।’