ব্যুরো নিউজ,১৩ ডিসেম্বর:শীত পড়লেই ভারতের মেট্রো শহরগুলির বায়ুদূষণ ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। সম্প্রতি ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বায়ুদূষণের কারণে দেশে প্রায় দেড় লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুটিংয়ের সময় রান্নার টিম থাকে নিরামিষ খাওয়ার জন্য! শুনে রেগে গিয়ে কি বললেন সাই পল্লবী?
প্রধান দূষক কি?
ভারতের বায়ুদূষণের মূল দায়ী দূষক পিএম২.৫ (পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫)। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানের অনেক উপরে। বর্তমানে দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এই দূষণের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। শীতকালে দূষণের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে এর প্রভাব সরাসরি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ এবং অন্যান্য জটিলতায় পরিণত হয়।শীতের শুরুতেই হাসপাতালগুলিতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দূষণের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি সকালে এবং রাতে। এই সময় বাইরে বের হওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিশেষত শিশু এবং বয়স্কদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাহুর কুপ্রভাব কাটাবেন কিভাবে? কি কি করলে পাবেন সুফল জেনে নিন এখনই
এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে হরিয়ানার অশোকা ইউনিভার্সিটি যেখানে নয়াদিল্লির সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল সহযোগিতা করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের ক্রমবর্ধমান মাত্রা শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব ফেলছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণের বিপদ এড়াতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। যানবাহনের সংখ্যা কমানো, সবুজায়ন বাড়ানো এবং দূষণ রোধে শক্তিশালী প্রণয়ন করা জরুরী বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।