ব্যুরো নিউজ,২০ ডিসেম্বর:কাশ্মীরের পরিস্থিতি দিন দিন আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি শ্রীনগর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আবহে গত বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে।
বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছেড়ে বাবা সেলিমের পুরনো বাইক চড়ছেন কেন ভাইজান ?
নতুন করে নাশকতা
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র), চিফ অফ আর্মি স্টাফ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি ও সিএপিএফের কর্মকর্তারা। তারা একমত হয়ে জানিয়েছেন যে, কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপ অনেকাংশে কমে গেছে, কিন্তু নিরাপত্তার দিক থেকে আরও সাবধান হতে হবে। গত বছর ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে, তবে বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গিদের নতুন পন্থা। তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে।এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলি এখন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে, যাতে তারা নিরাপদে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
এবার OTT-তে বিগ বস সিজন-৩ | সঞ্চালনায় কে? ভাইজান কি থাকছেন?
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স, টেলিগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। নতুন তরুণদের প্রতি এই সংগঠনগুলি তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সমাজমাধ্যমের মাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছে।কাশ্মীরের সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশও বাড়ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, একাধিক এলাকা যেমন তুলাইল, গুরেজ, মাচিল ও গুলমার্গ দিয়ে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। স্থানীয় তরুণদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনা তাদের নজরদারি আরও বাড়িয়েছে। তবে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘সুপ্ত আতঙ্ক’—যখন জঙ্গিরা সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে কার্যক্রম চালায়। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি, পুঞ্চ, ডোডা, রেইসি, কিস্তওয়ার, কাঠুয়া, উধমপুর এবং জম্মু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ এই এলাকাগুলিতে এখন নতুন করে নাশকতা ঘটছে।