ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:সারা দিনের সব ব্যস্ততা শেষে ক্লান্তিতে যখন আমরা বিছানায় শুয়ে পড়ি, তখন ঘুম কিন্তু আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশ্রামের মাধ্যম। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি রাতে সাত থেকে ন ঘণ্টা ঘুমানো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে, ঘুমানোর সময় এবং উঠার সময়ও আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
শাহরুখ খানের জীবনের কঠিন সময়ঃ ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করলেন স্মৃতি
স্বাস্থ্য ও শরীরের ওজনের ওপর প্রভাব
‘জার্নাল অব অ্যাকটিভিটি, সেডেন্টারি অ্যান্ড স্লিপ বিহেভিয়ারস’ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ঘুমানোর নিয়ম এবং মোট ঘুমের সময় একজন মানুষের স্বাস্থ্য ও শরীরের ওজনের ওপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং ইতিবাচক জীবনযাপনকারী ব্যক্তিরা সাধারণত ভালো ঘুমের অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।গবেষণাটি ৪৬ বছর এবং তার বেশি বয়সের প্রায় ৪,০০০ ব্যক্তির ওপর করা হয়। দু সপ্তাহ ধরে তাদের ঘুমের অভ্যাস এবং স্বাস্থ্যগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে গড় রক্তচাপ, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই), পেটে চর্বির স্তর, গ্লুকোজ, ইনসুলিনের মাত্রা এবং কোলেস্টেরল সম্পর্কিত তথ্য।
অনুষ্ঠানে না যাওয়ার অভিযোগে বিতর্কের মাঝে পড়তে হল তৃপ্তি দিমরি
গবেষকরা দেখেছেন, অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাসের কারণে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, যারা দিনে খুব বেশি চলাফেরা বা ব্যায়াম করেন না, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ব্যায়াম করলে ঘুমের মান বাড়তে পারে। নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের মেটাবলিজম উন্নত হয়, যা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।তাহলে যদি আপনার ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকে, তবে খারাপ ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। যাদের ঘুমের সময় অনিয়মিত, তাদের কোমরের পরিধি বাড়তে পারে এবং বিএমআইও বেশি থাকতে পারে। তাই, যদি আপনি আপনার বয়সের অনুপাতে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে চান, তাহলে ঘুমের গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিন।