ব্যুরো নিউজ,১৩ ডিসেম্বর:ভারতে বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে জোরদার অভিযান চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। পূর্ব দিল্লির সীমাপুরি, কালিন্দি কুঞ্জ, শহিরবাগ এবং জামিয়া নগরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের আধার কার্ড এবং আইডি যাচাই করছে। এই অভিযান শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার এবং চলবে দু’মাস ধরে।
আরজি কর দুর্নীতিঃ বাইক পার্কিং তোলাবাজির অভিযোগে কাঠগড়ায় সন্দীপ ঘোষ ও আফসার আলি
কেন অভিযান?
শীতের মরসুমে ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনও সামনে। ফলে বেআইনি নাগরিকদের চিহ্নিত করার এই পদক্ষেপ আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে। বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের সুকানী সীমান্তে ৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। এদের মধ্যে ৩ জন একই পরিবারের সদস্য এবং একজন প্রতিবেশী। দালালচক্রের মাধ্যমে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এদিকে, পঞ্চগড় থেকে এক ১৭ বছর বয়সি নাবালিকা পায়ে হেঁটে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর দিনাজপুরে প্রবেশ করে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।নাবালিকা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হুমকি থেকে বাঁচতেই তিনি ভারতে পালিয়ে আসেন। তিনি এবং তার পরিবার ইসকনের ভক্ত। পরিবারকে খুন এবং তাকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ভিসা পাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে তিনি সীমান্ত পায়ে হেঁটে পেরোনোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে সেই তরুণী পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
‘এক দেশ, এক ভোট’ঃ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হতে পারে ঐতিহাসিক বিল
বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার এই নাবালিকার বাবা অসুস্থ এবং পরিবারটি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের হুমকি নতুন করে সীমান্ত পরিস্থিতির উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ভারতের উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লক দিয়ে প্রবেশের সময় বিএসএফের নজরে আসেন ওই তরুণী।দিল্লি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে প্রশাসন কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।