ব্যুরো নিউজ ৩০ জুন: তৃণমূল কংগ্রেসের শো কজ় চিঠির জবাব দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্তমান ডেবরা বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, কিন্তু সেই জবাবে নেই না দুঃখপ্রকাশ, না ভুল স্বীকার। বরং তিনি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, কেন তিনি নিহত কিশোরী তমন্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কালীগঞ্জ গিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যাননি, বরং তাঁর নিজস্ব একটি অরাজনৈতিক সমাজসেবামূলক সংগঠনের তরফে তমন্নার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, সেই অর্থ গ্রহণ করেননি তমন্নার পরিবার, এবং সেই তথ্যও দলের কাছে তুলে ধরেছেন।
ক্ষমা নয়, ব্যাখ্যা_
দলের অনুমতি না নিয়েই কালীগঞ্জে যাওয়ায় এবং ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন তুলতেই হুমায়ুনকে তড়িঘড়ি শো কজ় করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও বিধায়ক দাবি করেন, এটি তাঁর মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই করা পদক্ষেপ। দল যদি বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখে, তা হলে সেটি তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বলেই জানান তিনি। তবে জবাবে সরাসরি ক্ষমা না চাওয়ায় এবং ভুল স্বীকার না করায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল?
রথযাত্রার গৌরবময় ইতিহাস: ভারতীয় সংস্কৃতির চাকা ঘোরে যেখান থেকে
হুমায়ুন কবীর ইতিপূর্বেও দলের অন্দরমহলে বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন। বিধানসভায় রাজ্য সরকারের প্রকল্প ব্যয় সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে এবং দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ নিয়ে মুখ খোলায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তার পরেই দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি হয়—বিধানসভায় কোনও প্রশ্ন তোলার আগে তা দলীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত হতে হবে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরেই।
🌧️ নতুন সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বর্ষণের ইঙ্গিত, প্রস্তুত থাকুন!
অন্যদিকে, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ক্ষেত্রেও তৃণমূল নেতৃত্ব একই ধরনের কড়া বার্তা দিয়েছে। কসবার ধর্ষণ মামলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁকেও শো কজ় পাঠানো হয়েছে এবং তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে শাসকদলের অন্দরমহলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর বার্তা দিতে তৎপর রাজ্য নেতৃত্ব।
হুমায়ুন কবীরের ব্যাখ্যা-ভিত্তিক জবাব দলের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। দল কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটিই এখন মূল নজরকেন্দ্র। তবে এ কথা স্পষ্ট, হুমায়ুনের মতো রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ একজন বিধায়কও আজ তৃণমূলের ‘শৃঙ্খলার রাডার’-এর আওতায়। তৃণমূল ভবনে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ—ক্ষমার বাইরে গিয়েও কি ক্ষমা না চাওয়াটা ক্ষমাযোগ্য?