ব্যুরো নিউজ,২১ নভেম্বর:হুগলি জেলায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রায় ৮ হাজার নতুন শৌচালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই শৌচালয়গুলির মধ্যে রয়েছে ৩,৫৫০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য, ৩,৯১৬টি পারিবারিক শৌচালয় এবং ৩৪৫টি কমিউনিটি শৌচালয়। এছাড়াও ১৭৩টি শৌচালয়ের সংস্কারও করা হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্বোধনটি হয় সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে, যেখানে সিঙ্গুরের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না, জেলাশাসক মুক্ত আর্য এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
প্রায় পাঁচ মাস এক শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে না যাওয়ায় বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে বকা খেলেন দিদিমণি
প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার
২০ নভেম্বর বিশ্ব শৌচালয় দিবস উপলক্ষে এই শৌচালয়গুলির উদ্বোধন করা হয়। প্রশাসনের আশা, এই নতুন শৌচালয়গুলি তৈরি হওয়ার ফলে আরামবাগ, চুঁচুড়া, চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে যত্রতত্র শৌচকর্মের প্রবণতা কমবে এবং জনসাধারণের মধ্যে স্বচ্ছতার বার্তা পৌঁছাবে। বেচারাম মান্না বলেছেন, রাজ্য সরকারের চেষ্টায় নির্মল গ্রাম গড়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে এবং মানুষও এতে আরও সচেতন হয়েছেন।তিনি আরও জানান, হুগলি জেলায় সার্বিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
উত্তরপ্রদেশ উপনির্বাচনে সপা’র অভিযোগের পাহাড়, ৫ পুলিশ আধিকারিক সাসপেন্ড!
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতেও কমিউনিটি স্যানেটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়াও, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে যে, এই ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আরও শতাধিক উন্নতমানের শৌচালয় নির্মাণ করা হবে, যার জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রতি শৌচালয়। এগুলি জনবহুল জায়গায় যেমন আইসিডিএস সেন্টার, বাজার, বিদ্যালয় প্রভৃতির কাছাকাছি নির্মাণ করা হবে।এদিন শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকে ৪টি কমিউনিটি শৌচালয়ের উদ্বোধনও করা হয়, পাশাপাশি তিনটি আইসিডিএস সেন্টারেও শৌচালয় স্থাপন করা হয়। রাজ্য সরকারের ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের আওতায়, যেসব বাড়িতে শৌচাগার নেই, সেই সব বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করার জন্য সরকারের সহায়তা দেওয়া হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্য সরকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ার পাশাপাশি, প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়।