ব্যুরো নিউজ,১৮ মার্চ : কুকুরের লোম পড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে কখনও কখনও এটি অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক হতে পারে, যা কুকুরের স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্কতার সংকেত দেয়। বিভিন্ন কারণে কুকুরের লোম পড়ে যেতে পারে, যেমন পরজীবী, অ্যালার্জি বা শারীরিক অবস্থা। এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি, যাতে কুকুরের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং তারা সুস্থ থাকে।
আইপিএল ২০২৫ অক্ষর পটেলের অধিনায়কত্বে দিল্লি ট্রফি জিতবে, বিশ্বাস পোড়েলের
লোম পড়ার কারণ
১.রিংওয়ার্ম এবং ফ্লি : কুকুরের চামড়ায় পরজীবী যেমন রিংওয়ার্ম, ফ্লি বা প্রোটোজোয়া জন্মানো রোগ হতে পারে। এইসব রোগের ফলে কুকুরের শরীরে অস্বাভাবিক চুলকানি এবং লোম পড়া দেখা যায়।
২. সিসনাল এলার্জি: শীতকালে কিছু কুকুরের লোম পড়ে যেতে পারে, কারণ শীতকালে চামড়া শুষ্ক হয়ে যায় এবং নানা ধরনের চামড়ার সমস্যা তৈরি হয়।
৩. ফুড এলার্জি: খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন বা কিছু খাবার কুকুরের শরীরে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে, যা লোম পড়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৪. গ্রুমিং প্রোডাক্ট: কুকুরের জন্য ব্যবহৃত শ্যাম্পু, পাউডার বা স্প্রে কিছু কুকুরের শরীর সহ্য করতে পারে না, যার কারণে লোম পড়ে যায়।
৫. ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস: শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণও লোম পড়ার কারণ হতে পারে।
৬. পুষ্টির অভাব: কুকুরের খাদ্যতালিকায় সঠিক পুষ্টি না থাকলে, তা শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং লোম পড়তে পারের
আইপিএল ২০২৫ কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অধিনায়কত্ব কার হাতে যাচ্ছে জানুন
লোম পড়া প্রতিরোধে করণীয়
১. প্রাকৃতিকউপাদান ব্যবহার
- অ্যাপল সাইডার ভিনিগার : এক কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং সমান পরিমাণ জল মিশিয়ে তুলো দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- অলিভ অয়েল: কুকুরের গায়ে দুই চামচ অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন। এটি চুলকানি ও জ্বালা-পোড়া থেকে রক্ষা করে এবং লাইস থেকেও মুক্তি দেয়।
- লেমন জুস : এক টুকরো লেবু গরম জলে ৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ঠাণ্ডা করে আক্রান্ত জায়গায় লাগান। এটি চামড়ার জন্য খুবই উপকারী।
- নতুন উদ্যমে আইপিএলের প্রস্তুতিতে বিরাট কোহলি, নজর নতুন লুকেও!
২. অ্যালার্জি-মুক্ত গ্রুমিং প্রোডাক্ট: কুকুরের জন্য সঠিক শ্যাম্পু, পাউডার এবং স্প্রে ব্যবহার করুন, যা তাদের ত্বকে সহনীয় হয়।
৩. খাদ্য পরিবর্তন: যদি খাদ্যরূপে কোনো অ্যালার্জি থাকে, তাহলে সে খাবার পরিবর্তন করে অন্য কোনো খাবার দিতে হবে।
৪. শীতকালে বাড়তি যত্ন: শীতকালে কুকুরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই তাদের ত্বকের জন্য অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় তাদের রাখার জন্য আলাদা একটি উষ্ণ স্থান তৈরি করুন।
৫. ডিওয়ারমিংএবং গ্রুমিং : কুকুরের নিয়মিত ডিওয়ারমিংএবং গ্রুমিং করাতে হবে, যাতে ফ্লি এবং কৃমি মুক্ত থাকে।
৬. পরিস্কার এবং শুষ্ক পরিবেশ: কুকুরের থাকার জায়গা ঠাণ্ডা, শুষ্ক এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। গরম, স্যাঁতস্যাঁতে এবং আবদ্ধ স্থানে কুকুরকে রাখা উচিত নয়।
৭. সঠিক পুষ্টি: কুকুরকে ভিটামিন D ও E সমৃদ্ধ খাবার এবং সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার দিন।
৮. Vet এর পরামর্শ: যদি কুকুরের লোম পড়া বেড়ে যায়, তবে অবশ্যই একজন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে।
এই সহজ কিছু টিপস অনুসরণ করলে কুকুরের লোম পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক যত্ন এবং পুষ্টি কুকুরের শরীরের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।