ব্যুরো নিউজ,২৮ ডিসেম্বর:শীতকাল এলেই গুড়ের রমরমা শুরু হয়। দুধে বা চালে গুড়ের স্বাদে মেতে ওঠে প্রতিটি ঘর, আর পিঠেপুলি, রসগোল্লা, পায়েসে গুড়ের মিষ্টি স্বাদে এক অনন্য অনুভূতি তৈরি হয়। খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড়ের গন্ধই যেন শীতের এক বিশেষ অনুভূতি। তবে প্রশ্ন উঠছে, বাজার থেকে কিনে আনা গুড় কতটা খাঁটি? অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্যের মতো, গুড়েও এখন ভেজাল মেশানো হচ্ছে। সুতরাং, কীভাবে বুঝবেন আপনার কেনা গুড়টি খাঁটি, তা জানতে এফএসএসএআই (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) কিছু সহজ পদ্ধতি জানাচ্ছে, যার মাধ্যমে আপনি নিজেই যাচাই করতে পারবেন গুড়ের গুণমান।
একসময় যার ওজন ছিল ৯০ কেজিরও বেশি সেই সুনিধি চৌহান কীভাবে ২১ কিলো কমালেন?
কিভাবে?
গুড়ের রং
গুড়ের সাধারণ রং মেটে বা কালচে বাদামি হয়। যদি গুড়ের উপরের অংশ হলদেটে বা সাদাটে দেখতে পান, তবে বুঝতে হবে তাতে রাসায়নিক মেশানো আছে। খাঁটি গুড়ের রং প্রাকৃতিকভাবেই গাঢ বাদামী হয়।
স্পর্শ পরীক্ষা
একটু গুড় নিয়ে হাতের তালুতে ঘষে দেখুন। যদি তাতে তেলতেলে ভাব থাকে, তবে বুঝতে হবে ভেজাল মেশানো আছে। সাধারণত মিনারেল অয়েল মিশিয়ে দেওয়া হয় গুড়ে, যার কারণে এতে তেলতেলে ভাব তৈরি হয়। খাঁটি গুড়ের মধ্যে এই ধরনের তেলতেলা ভাব থাকে না।
মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল আসলে কি? কেন তরুণ প্রজন্ম এতে আকৃষ্ট হচ্ছে? জানুন
স্বাদ ও গন্ধ
গুড় কেনার সময় সেটি চেখে দেখুন। যদি হালকা নোনতা স্বাদ পান, তবে বুঝবেন তাতে ভেজাল মেশানো আছে। খাঁটি গুড় নরম হয় এবং তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়, এর স্বাদ মিষ্টি এবং গন্ধ সতেজ থাকে। তবে যদি গুড়টি শক্ত বা চটচটে হয়, তবে বুঝবেন তাতে চিনি বা রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। এছাড়া, আসল খেজুর গুড়ের গন্ধ আলাদা হয়, যা ভেজাল গুড় থেকে পাওয়া যায় না।
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড টেস্ট
এফএসএসএআই একটি সহজ পরীক্ষা সুপারিশ করেছে। এক চামচ গুড় নিয়ে তাতে দুই থেকে তিন ফোঁটা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মেশান। যদি দেখেন গুড় থেকে ফেনা উঠছে, তবে বুঝতে হবে তাতে রাসায়নিক মেশানো আছে। খাঁটি গুড়ে এই ধরনের কিছু ঘটবে না।
জলের পরীক্ষা
এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে এক চামচ গুড় মেশান। যদি গুড়ে চকের গুঁড়ো মেশানো থাকে, তা হলে তা জমা হবে গ্লাসের তলায়। খাঁটি গুড়ে এই ধরনের সমস্যা হবে না, কারণ তা পুরোপুরি দ্রবীভূত হয়ে যাবে।
এভাবে কিছু সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, আপনার কেনা গুড়টি খাঁটি কি না। তাই, শীতের মৌসুমে গুড় খাওয়ার সময় একটু সতর্ক থাকুন, এবং ভেজাল গুড় থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।