‘মাই ভ্যালেনটাইন’ ডাকার পেছনের হৃদয় বিদারক ইতিহাস জানুন

ব্যুরো নিউজ,১৩ ফেব্রুয়ারি:আগামিকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেনটাইনস ডে।ভালোবাসার মানুষদের এবং প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। অনেকেই এই দিনটিতে তাদের প্রিয়জনকে ‘মাই ভ্যালেনটাইন’ বলে সম্বোধন করেন, তবে এই ডাকের ইতিহাস জানলে চমকে উঠবেন। এই সম্বোধনটি আসলে এক প্রেমিকের চিঠি থেকে এসেছে, যা বহু বছর আগে লিখিত হয়েছিল।২৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সাম্রাজ্যের শাসনভার ছিল সম্রাট ক্লডিয়াসের হাতে। সেই সময় রোমে খ্রিষ্টধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল।

কিস ডেঃ কাজের চাপ থেকে শুরু করে জীবনের নানান সমস্যা থেকে মুক্তির পথ শুধু একটি চুম্বন ,জেনে নিন কিভাবে?

ইতিহাস

সেন্ট ভ্যালেনটাইন ছিলেন একজন খ্রিষ্টান সাধু, যিনি গোপনে খ্রিষ্টধর্মের প্রচার করতেন।তাই তার এই কাজের জন্য তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। এই সময়েই ঘটেছিল এক যুগান্তকারী প্রেমের কাহিনী।কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় সেন্ট ভ্যালেনটাইন কারাপ্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। শুধু ধর্ম প্রচার করাই নয়, সেন্ট ভ্যালেনটাইন একজন চিকিৎসকও ছিলেন। একদিন তিনি কারাগারে একটি  অন্ধ মহিলাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন। তার এই অসাধারণ কাজে অবাক হয়ে যান অনেকেই।

কিন্তু, যখন এই ঘটনা সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে পৌঁছায়, তখন তিনি সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।১৪ ফেব্রুয়ারি সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিন ঘোষণা করা হয়। সেই সময়েই তিনি একটি চিঠি লেখেন কারাপ্রধানের মেয়েকে, যার মধ্যে তিনি লিখেছিলেন, “তোমার ভ্যালেনটাইনের পক্ষ থেকে”।

‘লাইটইয়ার’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল ১৪টি দেশে? চুম্বন দিবসে জানুন নেপথ্যে কারণ

“ইয়োর ভ্যালেনটাইন” কথাটি সেই সময় থেকেই বিখ্যাত হয়ে যায়, আর সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে স্মরণ করে প্রেমিকারা তাদের প্রিয়জনকে ‘মাই ভ্যালেনটাইন’ বলে ডাকার রীতি শুরু করেন।আজও ১৪ ফেব্রুয়ারি এই বিশেষ দিনটি প্রেমের প্রকাশ এবং ভালোবাসার উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে জানলে অবাক হবেন যে, ‘মাই ভ্যালেনটাইন’ সম্বোধনের পেছনে থাকা এই হৃদয়বিদারক প্রেমের গল্পটি ইতিহাসের এক অমর অংশ হয়ে রয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর