ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর :ঘন ও ঢেউ খেলানো চুলের স্বপ্ন দেখা খুব সাধারণ। তবে চুলের নানা সমস্যা আমাদের মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়। ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুলের সমস্যাও বদলায়—কখনও গোঁড়া চুল উঠে আসে, কখনও মাথায় খুশকির চোটে চুলকানি। কারও সমস্যা ডগা ফাটার, আবার কারও তেলচিটে ভাব। সমস্যা বুঝলেও স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে তিনটি প্রাকৃতিক উপাদান চুলের সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
চুলের অকালপক্ষতার কারন কি জানেন? কি খেলে অকালপক্ষতা থেকে বাঁচা যায়? জেনে নিন
এই ৩ টি উপাদান সমস্যার সমাধান
চুলের যত্নে বাড়িতেই তৈরি করুন হেয়ার প্যাক
প্রথমত, অ্যালো ভেরা। এই গাছটিকে আয়ুর্বেদে ‘ঘৃতকুমারী’ বলা হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই, পাশাপাশি জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম। অ্যালো ভেরা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং জিঙ্ক চুলের ভেঙে যাওয়া ও ঝরে পড়া রোধ করে।শাঁস বের করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
রুক্ষ শুষ্ক চুলের জেল্লা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে
দ্বিতীয় উপাদান হলো জবাফুল। প্রাচীনকাল থেকে চুলের পরিচর্যায় এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড চুলের ফলিকলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অ্যামাইনো অ্যাসিড কেরাটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া, খুশকি ও ডগা ফাটার সমস্যায়ও জবাফুল কার্যকরী।জবাফুল ৩-৪টি জলে ফুটিয়ে, সেই জল স্প্রে করে বা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়ে যাওয়ার কারণ শুধুই কি শ্যাম্পু নাকি ব্যস্ততা?এইভাবে নিন চুলের যত্ন
তৃতীয় উপাদান হিসেবে ব্রাহ্মী শাকের কথা উল্লেখ করা যায়। এই ভেষজটি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। ব্রাহ্মী চুলের ডগা ফাটা কমাতে এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণ ঠেকাতেও কার্যকরী।ব্রাহ্মী শুকিয়ে গুঁড়ো করে নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে তা ডগা ফাটা কমাতে ও চুলে ঔজ্জ্বল্য আনতে সাহায্য করে।