ব্যুরো নিউজ, ৬ মার্চ: দাঙ্গা প্রতিরোধে অ্যান্টি রায়ট আইন লাগু করল উত্তরাখণ্ড সরকার। দাঙ্গা-বিক্ষোভ, অস্থিরতার সময় জনসাধারণ সরকারী সম্পত্তি ভাঙচুর বা নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘটনায় অভিযুক্তদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
অবশেষে গঙ্গার নীচে ছুটবে মেট্রো | ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানান, “যারা রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করে তাদের ভারী মূল্য দিতে হবে”। তিনি কড়া ভাবে দাবি করেন, আই আইন লাগু হলে দাঙ্গাবাজরা আগামীতে দেবভূমির পবিত্র ভূমিকে কলঙ্কিত করা থেকে বিরত থাকবে।
‘অ্যান্টি রায়ট’ আইন লাগুর ক্ষেত্রে এবার সিলমোহর দিল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। দাঙ্গা-সংঘর্ষ করে সরকারী ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে তার সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে দাঙ্গাকারিদের থেকেই। সেক্ষেত্রে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা নেওয়া হতে পারে।
উত্তরাখণ্ড সরকার দাঙ্গা প্রতিরোধ এবং এই ধরনের ঘটনায় ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই আইন অনুমোদন করা হয়েছে। এই আইন, “উত্তরাখন্ড পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রপার্টি রিকভারি অর্ডিন্যান্স 2024″ এটি দাঙ্গা-সম্পর্কিত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দেশের সবচেয়ে কঠোর আইন। দাঙ্গার ঘটনা মোকাবিলায় রাজ্যে এক যুগান্তকারী আইন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, ” দাঙ্গা ও অশান্তির মামলা কঠোরভাবে দমনের লক্ষ্যে ক্যাবিনেট একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে”।তিনি এও বলেছেন, “যারা রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করে তাদের ভারী মূল্য দিতে হবে।”
নতুন অনুমোদিত আইনের অধীনে, কোথাও বিক্ষোভ বা দাঙ্গার কারণে সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সার্কেল অফিসার ঘটনাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন। পরবর্তীকালে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টির অগ্রগতির পদক্ষেপ নেবে। এরপর আদালত কমিশনারের মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করবে।