ব্যুরো নিউজ, ২০সেপ্টেম্বর :পোষা কুকুর বা বিড়ালের হার্টের সমস্যা বা ডায়াবিটিস হতে পারে, এটা অনেকেই জানেন না। যদিও আমরা আমাদের পোষ্যদের যথেষ্ট আদর-যত্ন দিয়ে রাখি, তবুও হার্ট ফেলিয়োর বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট তাদের মধ্যে ঘটতে পারে। পোষ্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা খুবই জরুরি।
পোষ্য কুকুরের খাবারে সতর্কতা: চকোলেটের বিপদ
কি ভাবে বুঝবেন পোষ্যের হার্ট ভাল নেই?
পশুচিকিৎসকরা বলছেন, পোষ্য কুকুরের শরীরচর্চা এবং সঠিক ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।খাবারের পরিমাণ সঠিকভাবে দেওয়া দরকার এবং আপনার খাওয়া খাবার ওদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। কুকুরের প্রজাতি অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করা উচিত। নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে ডায়েট ঠিক করতে হবে। খাবার ও শরীরচর্চার অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যা হার্টের রোগের কারণ হয়।
চরম লজ্জা!টাকার অভাবে কুকুরের ঘরে মাথা গোজার ঠাঁই হয় শ্রমিকের
কুকুরের শরীরের ক্লান্তি ও দুর্বলতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাদের ঘর্মগ্রন্থি না থাকায়, তারা জিভ বার করে শরীর ঠান্ডা রাখে। অসুস্থ হলে কুকুর বেশি হাঁপাতে পারে, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, দ্রুত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
কুকুরকে মানুষের অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে গিয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অভিযোগ
বয়সজনিত কারণেও হার্টের সমস্যা হতে পারে। বয়স হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং কুকুরগুলো প্রচণ্ড ঝিমিয়ে পড়ে। তারা খেতে চাইবে না বা হাঁটাচলা করতে পারবে না। এছাড়া, পরজীবীর সংক্রমণও হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পরজীবীরা কুকুরের রক্তে জন্মায়, যা লসিকাগ্রন্থিগুলি ফুলিয়ে দিতে পারে।কুকুরের হার্টের স্বাস্থ্য চেক করার জন্য চেস্ট এক্স-রে, ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম এবং রক্ত পরীক্ষা করা ভীষণ জরুরি। নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে পোষ্য কুকুরের হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব।