Health Care

শর্মিলা চন্দ্র, ১৯ জুন : একে তো ভ্যাপসা গরম, তার উপর ঘামাচির জ্বালাতন। সব মিলিয়ে অস্বস্তি যেন বেড়েই চলেছে। গরম পড়লেই অনেকে ঘমাচির সমস্যায় ভোগেন। কীভাবে এই ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পাবেন ভেবে পান না। যাদের ঘামাচি হয় তারা গরম এলেই যেন আতঙ্কে থাকেন কী করবেন। যদিও ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে আগে জানা দরকার ঘামাচি কেন হয়।

ঘরোয়া উপায়ে কুনুইয়ের কালচে ভাব দূর করুন

ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারে পেতে পারেন রেহাই

আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের লোমকূপ দিয়ে ঘাম বের হয়। শরীরের দূষিত পদার্থ ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ঘামে থাকা লবণের জন্য লোমকূপ যদি বন্ধ থাকে তাহলে ঘাম শরীর থেকে বের হতে পারে না। ফলে ত্বকে ঘামাচি হয়। দেখে নেওয়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। শরীরের যে অংশে ঘামাচি হবে সেই স্থান সব সময় পরিষ্কার রাখুন।

দিনে দুবার পোশাক পরিবর্তন করুন। সব সময় পরিষ্কার পোশাক পরুন।

গরমে ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি পেতে ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পড়ুন।

লেবু জল, ডাবের জলের মতো পানীয় বেশি করে পান করুন।

যতটা সম্ভব গরম এড়িয়ে চলুন। ফ্যানের নীচে অথবা এসির ঠান্ডায় থাকুন।

বেশি গরম পড়লে দিনে দুই থেকে তিনবার স্নান করুন।

নিয়মিত যদি ব্যায়াম করেন তাহলে ব্যায়ামের পর স্নান করে নিতে পারেন।

ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পেতে ট্যালকম পাউডার বা প্রিকলি হিট সাবান ব্যবহার করতে পারেন। শিশুদের গায়ে পাউডার দেওয়ার সময় খেয়াল রাখুন যাতে চোখে অথবা নাকে পাউডার না চলে যায়।

BJP Helpline

ঘামাচি হলেই অতিরিক্ত চুলকানি হয়। চুলকানির হাত থেকে আরাম পেতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

অতিরিক্ত ঘামাচি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

ঘরোয়া কিছু উপায়েও ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল ঘামাচির জায়গায় লাগালে আরাম পাবেন। কয়েক দিন শরীরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ঘামাচি সেরে যাবে। জেল শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শরীরের পাশাপাশি অনেকের মুখেও ঘামাচি হয়। সে ক্ষেত্রে তুলসীপাতা পেস্ট, কচি লাউ পেস্ট ও আতপ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। এই তিনটি উপকরণ একই অনুপাতে নিয়ে, মিশিয়ে, ব্যবহার করলে মুখের ঘামাচি কমে যাবে।

ঘামাচি কমানোর জন্য নিমপাতায়ও কিন্তু বেশ উপকারি। এতে ছত্রাক প্রতিরোধক উপকরণ রয়েছে। যা ঘামাচি নিরাময়ে সাহায্য করে। নিমপাতার পেস্ট শরীরে লাগিয়ে সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিতে হবে। এভাবে চার থেকে পাঁচবার দিনে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া এক মুঠো নিমপাতা নিয়ে ২ কাপ জলে ২০ মিনিট সেদ্ধ করতে হবে। এরপর সেই জল ঠান্ডা করে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘামাচির জায়গায় ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে লাগাতে হবে। এভাবে দিনে চার থেকে পাঁচবার করতে পারলে ভালো।
অতিরিক্ত খারাপ অবস্থা হলে কোনো রকম প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। তবে স্টেরয়েড মলম বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

ঘামাচি হলে কয়েকটি বিষয় কিন্তু মাথায় রাখা জরুরি-

ঘামাচি হলে নাইলনের কাপড় এড়িয়ে চলুন।
চেষ্টা করুন ঘর যেন স্যাঁতসেঁতে না থাকে।
ঘামাচির জায়গায় ভুল করেও নখ দিয়ে চুলকাবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর