ব্যুরো নিউজ ২৩ মে : তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত ১১তম ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স গেমসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর রোহিত কাদিয়ান এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন, যা দেশের জন্য চারটি পদক জয় করেছেন এবং বিশ্ব মঞ্চে ভারতের সামরিক শক্তি ও ক্রীড়া নৈপুণ্যকে তুলে ধরেছে। তার এই অসাধারণ পারফরম্যান্স শুধু ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বকেই প্রমাণ করে না, বরং ভারতীয় সেনাবাহিনীর অদম্য সংকল্প, অধ্যবসায় এবং শৃঙ্খলার প্রতিচ্ছবি।
মেজর কাদিয়ানের পদক তালিকা
মেজর কাদিয়ানের পদক জয়ের এই উজ্জ্বল তালিকায় রয়েছে:
- ১টি স্বর্ণপদক (ইভেন্ট নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও এটি সম্ভবত সামগ্রিক সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ)
- ২টি রৌপ্যপদক (৮০০ মিটার এবং ৫০০০ মিটার দৌড়)
- ১টি ব্রোঞ্জপদক (৪০০ মিটার দৌড়)
এই প্রথম সিআইএসএফ এর এভারেস্ট জয় ; ইতিহাস গড়লেন মহিলা অফিসার
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতি
ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মেজর কাদিয়ান এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বমানের অভিজাত ক্রীড়াবিদ এবং প্রাক্তন অলিম্পিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার দৃঢ়তা, সংকল্প এবং বিশ্বমানের অ্যাথলেটিসিজম তাকে বিশ্ব মঞ্চে একটি বিশেষ স্থান করে দিয়েছে।
ব্যক্তিগত উৎকর্ষ এবং জাতীয় অনুপ্রেরণা
এই টুর্নামেন্টে মেজর রোহিত কাদিয়ানের চারটি পদক জয় কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে না, বরং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য – স্থিতিস্থাপকতা (resilience) এবং শৃঙ্খলার (discipline) স্পিরিটকেও তুলে ধরে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, মেজর কাদিয়ানের এই অর্জন দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্রীড়াবিদ এবং সামরিক কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯: পেনাল্টিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত
ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স গেমস এমন একটি আন্তর্জাতিক বহু-ক্রীড়া ইভেন্ট যেখানে বিভিন্ন বয়স গোষ্ঠীর ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করে। এই ধরনের মঞ্চে মেজর কাদিয়ানের মতো একজন সামরিক অফিসারের এমন ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে ভারতের ক্রীড়া মানচিত্র এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সম্মানকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তার এই সাফল্য দেশের যুবসমাজকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলবে এবং শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার গুরুত্ব বোঝাবে।
মেজর রোহিত কাদিয়ান প্রমাণ করেছেন যে, কঠোর পরিশ্রম, নিবেদন এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তার এই জয় কেবল একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি সমগ্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত এবং দেশের জন্য এক বিশাল সম্মান।