ব্যুরো নিউজ,২৬ মার্চ : শিলিগুড়ি, এনজেপি স্টেশন: আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কেঁপে উঠল শিলিগুড়ির এনজেপি সংলগ্ন এলাকা। ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোর পাশেই বুধবার গভীর রাতে ঘটে গেল মারাত্মক আগুনের ঘটনা। আগুনে একের পর এক বাড়ি ভষ্মিভূত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বেশ কয়েকটি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। আগুন নেভাতে রাতভর যুদ্ধ চালাতে হয়েছে দমকল কর্মীদের।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণে বিকসিত ভারত ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের আদর্শ
ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোর পাশেই বুধবার গভীর রাতে ঘটে গেল মারাত্মক আগুনের ঘটনা। আগুনে একের পর এক বাড়ি ভষ্মিভূত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বেশ কয়েকটি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। আগুন নেভাতে রাতভর যুদ্ধ চালাতে হয়েছে দমকল কর্মীদের।
IPL 2025: শ্রেয়স আইয়ার PANJAB KINGS নতুন দলের দায়িত্ব, নতুন চ্যালেঞ্জ
শিলিগুড়ি ফায়ার স্টেশনের ফায়ার অফিসার ধর্মেন্দ্র কৃষ্ণ রায় জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এলাকায় অবৈধভাবে মজুদ করা তেলের জন্যই এই আগুন লেগেছে। তবে ঠিক কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনিভাবে তেল মজুদ করে রাখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বারবার এই অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও প্রশাসনের তরফে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কেউ শাস্তি পায়নি।একজন স্থানীয় বলেন, “প্রতিবার আগুন লাগে, আমরা ভয়ে থাকি। প্রশাসন সব জানে, কিন্তু কিছুই করে না। এবার তো বাড়িই চলে গেল। কতবার বলেছি, তেল মজুদ বন্ধ হোক – কেউ শোনে না।”অন্য এক বাসিন্দার বক্তব্য, “দেখুন, ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো অনেকবার হয়েছে। কিন্তু যদি একদিন বড়সড় কিছু হয়, অনেক মানুষের প্রাণ যায়, তখন কি প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে?”
লোহার কনটেনারে আশ্রয়, তবুও সরকারি সাহায্য নেই! হাওড়ার বেলগাছিয়ার অসহায় পরিবারগুলোর করুণ চিত্র !
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে তেল মজুদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রশাসনকে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, নইলে এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটবে।এই ঘটনার পর, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে আশেপাশের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথাও ভাবছেন।এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও দমকল কী পদক্ষেপ নেয় এবং আদৌ কি অবৈধ তেল মজুদের এই চক্র বন্ধ করা সম্ভব হবে কিনা। কারণ, মানুষের প্রাণের চেয়ে বড় কিছু নয় — এবং প্রশাসনের দায়িত্ব সেই প্রাণ রক্ষা করা।