ব্যুরো নিউজ,১৯ নভেম্বর:সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করেছে ইডি। এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, যা নিয়ে এখন সারা দেশে আলোচনা চলছে। ইডির অভিযানে উদ্ধার হওয়া অর্থের পরিমাণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সামনে এসেছে।পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয় এবং পঞ্জাবের ২২টি স্থানে ইডি অভিযান চালায়। এই অভিযানটি ছিল ‘লটারি কিং’ নামে পরিচিত সান্তিয়াগো মার্টিনের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার অংশ। ইডি আধিকারিকরা অভিযানে গিয়ে বিশাল অঙ্কের নগদ অর্থ উদ্ধার করেছেন। পাশাপাশি, ফিক্সড ডিপোজিটের নথি এবং দুর্নীতির আরও নানা তথ্যও তাদের হাতে এসেছে।
সাইবার হামলায় ত্রিপুরার ব্যাঙ্কে তথ্যচুরি, সূত্র মিলল কলকাতায়
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ২২ জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ১২.৪১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ৬.৪২ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। সান্তিয়াগো মার্টিনের কোম্পানি ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই অভিযানে অন্তত তিন কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল বলে জানা গেছে।বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড রাজনৈতিক দলগুলিকে সবচেয়ে বেশি অনুদান প্রদান করেছিল। এই অনুদানের পরিমাণ ছিল ১৩৬৮ কোটি টাকা। সংস্থাটির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে ইডি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
ফ্লোরিডা থেকে ইসরোর জিস্যাট-এন২ উপগ্রহ উৎক্ষেপণঃ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা
সান্তিয়াগো মার্টিনের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ, কারচুপির এবং দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন মায়ানমারের রেঙ্গুনে, পরে ভারতে ফিরে এসে লটারি ব্যবসা শুরু করেন। তার ব্যবসা ধীরে ধীরে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরল, উত্তর-পূর্ব ভারত, ভুটান ও নেপালেও ছড়িয়ে পড়ে। সান্তিয়াগোর কোম্পানি ২০১৯ সাল থেকে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় তদন্তের সম্মুখীন হয়েছে।ইডির এই বিশাল অভিযানের মাধ্যমে সান্তিয়াগো মার্টিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তার অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।