ব্যুরো নিউজ, ২৯ ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসানের পর আজ সকালে উঃ ২৪ উঃ ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেশখালির পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে। গ্রেফতার করার পর তাকে বসিরহাট আদালতের লকআপে রাখা হয়েছিল। আজ সকালে তাকে আদালতে পেশ করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩৪১, ১৮৬, ৩৫৩, ৩২৩, ৪২৭, ৩৭০, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ২
জানা গিয়েছে, আদালতে পুলিশ শাহজাহানকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়েছিল। আদালত ১০ দিনের হেফাজতের অনুমতি দেয়। তবে, এইবার শাহজাহানের পুলিশি হেফাজত নিয়ে আশঙ্কা করে ইডি বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ইডির আশঙ্কা পুলিশ হেফাজতে থাকার ফলে রেশন দুর্নীতি মামলার যে তদন্ত ইডি করেছিলো তার সমস্ত তথ্য প্রমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী এদিন কোর্টে মন্তব্য করেন, রাজ্য পুলিশের হাতে শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে। এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ধৃত। এর ফলে ইডি যে মামলার তদন্ত করছে, তার অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে। জানা গিয়েছে, বসিরহাট আদালতের রায় ঘোষণার পরেই রীতিমতো গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে আনা হয়েছে ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন তার নতুন ঠিকানা ভবানী ভবন।
গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে আনা হল ভবানী ভবনে
গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূলের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে রেশন দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। তাঁরা সেখানে গিয়ে তল্লাশি তো দূরে থাক রীতিমতো মার খেয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। এই ঘটনায় পরপর তিনটি এফ আই আর দায়ের হয়েছিলো। সেই বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলো ইডি। এরপর হাইকোর্ট সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে যৌথভাবে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলো। পরবর্তীতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইডি ও রাজ্য পুলিশ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এরপর হাইকোর্ট সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো। সেই মামলার শুনানি আগামী ৬ মার্চ। ইডির আইনজীবীর আবেদন, সেই মামলার শুনানি আগামী শুক্রবারই করা হোক। ইডির আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে গোটা বিষয়টা বিবেচনাধীন। ইভিএম নিউজ