ব্যুরো নিউজ ২৫ জুন : জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ৮-৯ জন পড়ুয়ার একটি দল স্কুল পালিয়ে সাইকেলে করে দারকেশ্বর নদে পৌঁছায়। তাদের গন্তব্য ছিল ষাড়েশ্বর শিব মন্দির লাগোয়া সুভাষপল্লী ঘাট। সেখানে উপস্থিত ছাত্রদের মধ্যে নবম শ্রেণীর অর্কদীপ দাস, সায়ন চ্যাটার্জী এবং পরমেশ্বর মিশ্র নদীতে স্নান করতে নামে। কিন্তু সাঁতার কাটার সময় আচমকাই গভীর জলে তলিয়ে যেতে থাকে তিনজনই। সহপাঠীরা ও পরে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তাজপুর উপকূলে দুর্ঘটনা, গভীর সমুদ্রে তলিয়ে গেল ৩ বন্ধু
উদ্ধার অভিযান ও মৃতদেহ শনাক্তকরণ
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুরু হয় নদীতে তল্লাশি অভিযান। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় আট ঘণ্টা ধরে খোঁজ চালানো হলেও কোনো সাফল্য মেলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে আবার তল্লাশি শুরু হয়। এই তল্লাশিতে আসানসোলের সেভেন ব্যাটেলিয়ানের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরাও যোগ দেন।
আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে প্রথমে একটি দেহ দেখতে পান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তাৎক্ষণিকভাবে তা উদ্ধার করা হয়। কিছুক্ষণ পর আরেকটি দেহ নদীর আরও নীচের দিকে উদ্ধার হয়। মৃতদেহ দুটির পরিচয় অর্কদীপ দাস ও পরমেশ্বর মিশ্র বলে জানা গেছে। তাদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান : আরামবাগে অব্যবস্থা, নবান্নের সামনে টোটোর বলি সিভিক
এখনও নিখোঁজ এক পড়ুয়া, শোকের ছায়া পরিবারে
তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন নবম শ্রেণীর পড়ুয়া সায়ন চ্যাটার্জী। তাঁর খোঁজে তীব্র তল্লাশি চলছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিখোঁজ পড়ুয়ার পরিবার এবং বিদ্যালয় জুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। দারকেশ্বর নদে অনিয়ন্ত্রিত স্নান এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।