ব্যুরো নিউজ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)-এর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা বর্ণনা’ তৈরির অভিযোগে এক প্রবীণ আইএএস (IAS) অফিসারের দিকে ক্যাবিনেট সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এই অফিসারটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একই সুরে কথা বলছেন, যিনি প্রায়শই পূর্ব-তথ্য না দিয়েই বাঁধ থেকে জল ছেড়ে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করার জন্য DVC-কে দোষারোপ করেন।
DM-এর মন্তব্যে বিতর্ক
শনিবার শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটি ভিডিও সংযুক্ত করেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য একই জেলার একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপে গিয়ে DVC-এর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করছেন। বিরোধী দলনেতা তাঁর পোস্টে বর্তমান ক্যাবিনেট সচিব টি.ভি. সোমানাথন এবং পশ্চিমবঙ্গ-এর সিইও মনোজ কুমার আগরওয়ালকে ট্যাগ করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন: “আমাদের রাজ্যের কি এই অবস্থা হয়েছে? একজন সরকারি কর্মকর্তা, যাঁকে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি কি স্রেফ তাঁর বসের কাছে তোষামোদ করতে এবং শাসক দলকে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা দিতে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন? এদের কি দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানো সম্ভব ? ”
নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি
প্রসঙ্গত, হুগলির জেলাশাসক হিসাবে মুক্তা আর্য ওই জেলার জেলা নির্বাচন আধিকারিক (DIO) হিসেবেও কাজ করেন। এই বিষয়টিকে টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন যে কয়েক মাস পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত এমন পক্ষপাতদুষ্ট অফিসারদের উপর সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য আস্থা রাখা যায় কি না। তিনি ভারতের নির্বাচন কমিশনকে এমন অফিসারদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করার দাবি জানিয়েছেন।
Asia Cup Cricket 2025 : হেরে গিয়ে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে ‘পলায়ন’ পাক মন্ত্রীর! কড়া বার্তা দিল BCCI।
দুর্গাপূজা মণ্ডপে রাজনৈতিক থিম
ঘটনাচক্রে, হুগলি জেলার খানাকুলের এই পূজা মণ্ডপের এবারের থিম হলো, DVC-র কারণে প্রতি বর্ষায় হুগলির বিভিন্ন এলাকা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা উল্লেখ করেছেন, “খানাকুলের ঘোষপুর সার্বজনীন দুর্গাপূজা-র এই বছরের থিম হলো ‘DVC-র জল: খানাকুলের দুঃখ !!!’ DVC, একটি সম্মানিত কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যেই এই মণ্ডপটিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল উদ্বোধনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যোগসাজশ রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানীতার এক নির্লজ্জ প্রদর্শনী।”