ব্যুরো নিউজ ০৭ জুলাই ২০২৫ : গতকাল, রবিবার (৬ জুলাই, ২০২৫), ভারতীয় জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী দেশজুড়ে পালিত হলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে “জাতির অমর সন্তান” বলে অভিহিত করে দেশের ঐক্য, গর্ব এবং উন্নয়নে তাঁর আজীবন উৎসর্গকে স্মরণ করেন। বিজেপি দেশের ২৭টি সাংগঠনিক জেলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (পূর্বের টুইটার) একটি পোস্টে লিখেছেন, “জাতির অমর পুত্র ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তিনি দেশের সম্মান, মর্যাদা এবং গর্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। একটি উন্নত ও আত্মনির্ভর ভারত গঠনে তাঁর আদর্শ ও নীতি অমূল্য।” প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিও ক্লিপও শেয়ার করেন যেখানে ড. মুখোপাধ্যায়ের জীবন, মূল্যবোধ এবং ভারতের প্রতি তাঁর দূরদৃষ্টি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তাঁর দূরদৃষ্টি দেশকে হতাশা থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছিল এবং প্রথম শিল্প ও সরবরাহ মন্ত্রী হিসেবে তিনি ভারতের প্রথম শিল্প নীতি তৈরি করেন।
যোগী আদিত্যনাথ ও অন্যান্যদের বক্তব্য
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও গতকাল ড. মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ অবস্থানের কথা স্মরণ করে বলেন, “এক দেশে, দুটি সংবিধান, দুটি প্রধান এবং দুটি পতাকা চলবে না… এই ছিল মহান পুরুষ ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আজীবন অঙ্গীকার, যিনি অবিভক্ত ভারতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।” জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাও তাঁকে “ভারত মাতার এক আলোকিত সন্তান” এবং “দূরদর্শী নেতা ও মহান শিক্ষাবিদ” হিসেবে স্মরণ করেন।
ঝাড়খণ্ড বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও কংগ্রেসের সমালোচনা
ঝাড়খণ্ডের ২৭টি সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি গতকাল ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। ঝাড়খণ্ড বিজেপি সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা বাবুলাল মারান্ডি ধানবাদের এক সিম্পোজিয়ামে বলেন, “ড. মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন দূরদর্শী জাতীয়তাবাদী, একজন গভীর চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ এবং একজন সাহসী রাজনৈতিক নেতা যিনি ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।” তিনি কংগ্রেসের তুষ্টিকরণের রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেন এবং ড. মুখোপাধ্যায়কে আধুনিক ভারতের শিল্প ভিত্তি স্থাপন করার জন্য কৃতিত্ব দেন, যার উদাহরণ হিসেবে সিন্ধ্রি সার কারখানার কথা উল্লেখ করেন। তিনি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে ড. মুখোপাধ্যায়ের দৃঢ় বিরোধিতার কথাও স্মরণ করেন।



















