ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর :করওয়া চৌথ, দীপাবলি, এবং ছট পুজোর পরই আসে তুলসী বিবাহের উৎসব। যা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে উদযাপিত হয়। পঞ্চাং অনুযায়ী এবছর একাদশী তিথি শুরু হবে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে এবং শেষ হবে ১২ নভেম্বর বিকেল ৪টা ৪ মিনিটে। তুলসী বিবাহ উৎসব পালন হবে ১২ নভেম্বর।
শুক্র গ্রহের পরিবর্তনে এই ৩ রাশির জীবনে ভাসবে প্রেমের জোয়ারে
কি দান করবেন লক্ষ্মী নারায়ণের আশীর্বাদ পেতে
এই বিশেষ দিনটি অত্যন্ত শুভ কারণ এর সঙ্গে হর্ষন যোগ যুক্ত হয়েছে। যা চলবে সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিট পর্যন্ত। এরপর বজ্র যোগ শুরু হবে যা এই দিনে পূজার বিশেষ তাৎপর্য বাড়ায়। বিশ্বাস করা হয় যে, তুলসী বিবাহের দিনে তুলসী ও শালিগ্রাম পুজো করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
খাবার খাচ্ছেন বিছানায় বসে? সংসারে অমঙ্গল ডেকে আনছেন না তো আপনি
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গণনা অনুযায়ী, তুলসী বিবাহের শুভ সময় বিকেল ৫টা ২৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। এদিন দেবোত্থানী একাদশীর উপবাস পালন করার পাশাপাশি বস্ত্র, গহনা এবং ধান, গম, ভুট্টা, বাজরা ও কালো মাসকলাইয়ের ডাল দান করা শুভ মনে করা হয়। এই দানে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ বর্ষিত হয় বলে বিশ্বাস।
তুলসী বিবাহ উপলক্ষে ভগবান বিষ্ণুর পুজোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ বস্ত্র দান করলে বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ হয় বলে প্রচলিত আছে। এ ছাড়াও, এই দিনে গুড় দান জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। তুলসী বিবাহে আরও দান করতে পারেন মিষ্টি আলু, মরসুমি ফল এবং জলের পাত্র, যা ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার অন্যতম উপায়।
রাহু খারাপ আপনার? বাথরুমে এই কাজটি করুন হয়ে যাবেন মালামাল
তুলসী বিবাহের উৎসব মূলত সৌভাগ্য, সুখ ও শ্রী বৃদ্ধির জন্য উদযাপিত হয়। এতে সামিল হয়ে ভক্তরা জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। উৎসবটি পালন করলে শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে পারিবারিক আনন্দও বৃদ্ধি পায় বলে মনে করেন অনেকে।