ব্যুরো নিউজ, ১৫ মে: নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক দলগুলির একের পর সংলাপকে কেন্দ্র করে গরম হয় ভোটের বাজার। আর সেই সংলাপ যদি বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীর হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। হুগলি জেলার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে গানও গেয়েছেন। সেই গানে বাংলাকে ‘কাংলা’ বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে মহাগুরুকে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
FIR খারিজের আর্জি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, মামলা শুনতে ‘হস্তক্ষেপ’ প্রধান বিচারপতির
‘বাংলার মানুষের রোজগার নেই’, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির ‘স্টার সেনাপতি’ বিজেপির হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারছেন। হুগলি জেলাতেও গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে ভোট চাইতে। সেখানে রোড শো করার পর সভাও করেন। সেই সভা থেকে প্রথমে নিজের চেনা সংলাপগুলি নতুন ভাবে বলেন। তারপর শুরু করেন গান। প্রথমে ‘খেয়ে যে লাথি লেং ভেঙে ঐ গেলো ঠেং…’ গানটি শোনান তিনি। এই গানের পর বলেন, ‘অনেকদিন আগে একটা গান গেয়েছিলাম। আমি ভাবিনি, এই গানটা বাংলার আজকের এই দিনের সঙ্গে এভাবে মিলে যাবে।’ স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই কথা পর সকলের মনে প্রশ্ন জাগে মহাগুরু কোন গানের কথা বলছেন। এরপরই সেই গান ধরেন তিনি। ‘আমাদের গড়া এই বাংলা আজ কেন হয়ে গেল কাংলা/ যদি প্রশ্ন করে বীর নেতাজি, কী তার জবাব দেব আমরা?’ তাঁর এই গানকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিন গানের শেষে ‘বন্দেতারম’ ধ্বনিও শোনা যায় তাঁর মুখে। এদিন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও দেন মিঠুন চক্রবর্তী।
মনোনয়ন দিতে গিয়ে অপহরণ করা হল প্রার্থী কাকলি ঘোষ ও তাঁর স্বামীকে! কাঠগড়ায় তৃণমূল
তাঁর এই গানের জন্য তৃণমূল পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেও মিঠুন চক্রবর্তীর গানের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। রোজকার মতোই বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন তিনি। এদিন সাংবাদিকরা মিঠুন চক্রবর্তীর গান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, ‘এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামে টাকা দেওয়া হয়। তাহলে কাঙাল ছাড়া আর কি? মোদী সরকারও রেশন দেয়। অন্যান্য দেশেও মোদী সরকার সাহায্য পাঠায়। করোনা ও যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষ অনেক সমস্যার পড়ে গিয়েছেন। তাই মোদী সরকার বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। খাবারের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে। তারমানে মানুষের হাতে টাকা নেই। কাজ নেই। কোনওরকম টিকিয়ে রাখার জন্য ৫০০-১০০০ করে টাকা দিচ্ছে এই সরকার।’