ব্যুরো নিউজ ৩ জুন : ডায়াবেটিস একটি আজীবনব্যাপী রোগ, তবে এর মানে এই নয় যে এটি শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অনেক রোগীর মনেই এই প্রশ্ন আসে: রক্তে শর্করা কি ওষুধ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর হলো ‘হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে এটি সম্ভব’, তবে এটি রোগীর জীবনধারা এবং রোগের অবস্থার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে।
কখন ওষুধ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব?
দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডঃ হিমিকা চাওলা (Dr. Himika Chawla) জানান, যদি কোনো ব্যক্তির প্রিডায়াবেটিস থাকে অথবা যদি সবেমাত্র টাইপ-২ ডায়াবেটিস শুরু হয়ে থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি না বাড়ে, তাহলে জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এর জন্য, সবার আগে একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি।
গরমকালে ঘাম ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে ৬টি জরুরি স্বাস্থ্য সম্মত উপায়
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা অনুসরণ করবেন:
- সুষম খাদ্য গ্রহণ: ডায়াবেটিস রোগীদের তাঁদের খাদ্যে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার যেমন – গোটা শস্য, সবুজ শাকসবজি, ডাল এবং কম চিনিযুক্ত ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সাদা ভাত, চিনি, মিষ্টি পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা জরুরি।
- নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা বা যোগব্যায়াম শরীরের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শারীরিক কার্যকলাপ শর্করাকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্থূলতা ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রধান কারণ। ওজন কমানো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওষুধের প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস করে।
- মানসিক চাপ পরিহার: মানসিক চাপের রক্তে শর্করার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ধ্যান, প্রাণায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমায়, এবং শরীর আরও ভালোভাবে কাজ করে।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: যদি আপনি ওষুধ না নিয়ে কেবল জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেন, তবে নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সময়মতো অবস্থার মূল্যায়ন করা যায়।
উদ্বেগজনক কোভিড পরিস্থিতি: কেরলের পরেই বাংলায় দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, গত ২৪ ঘণ্টায় কত?
ওষুধ ছাড়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তবে এর জন্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠা এবং শৃঙ্খলা প্রয়োজন। তবে, প্রতিটি ব্যক্তির অবস্থা ভিন্ন, তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা বিপজ্জনক হতে পারে।
তথ্যসূত্র: (যদিও নিবন্ধে সরাসরি ইন্টারনেট রেফারেন্স চাওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে উল্লেখিত বিশেষজ্ঞের বক্তব্যই মূল রেফারেন্স। একটি প্রকৃত সংবাদ প্রতিবেদনে, পিএসআরআই হাসপাতালের ওয়েবসাইট বা বিশেষজ্ঞের প্রকাশিত নিবন্ধের লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে।)