ব্যুরো নিউজ,৭ ফেব্রুয়ারি: বিখ্যাত কবিতা “বাংলাটা ঠিক আসে না” একসময় দাগ কেটেছিল সকলের মনে। এই কবিতা পড়ে সকলেই বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাংলা ভাষার প্রতি এক শ্রেণীর মানুষের এইরকম গোঁড়ামির মনোভাবকে যে কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়, তা সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই কবিতার স্রষ্টা ভবানী প্রসাদ মজুমদার।
ভবানী প্রসাদ মজুমদারের প্রয়াণে সকলে শোকস্তব্ধ
বুধবার সকালে ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করেছেন বিখ্যাত এই কবির। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি সোমবার ওই সমস্ত সমস্যা নিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে রেখে গিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জয়নগরে তৈরি হতে চলেছে মোয়া হাব
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ভবানীপ্রসাদ মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যু সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি, যা কখনো পূরণ হওয়ার নয় বলে মনে করছেন সাহিত্য জগতের অনেকেই। উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ৯ এপ্রিল হাওড়ার সানপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভবানীপ্রসাদ। তিনি সানপুর কালীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখা ও কবিতাচর্চার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল সীমাহীন। ছোট- বড় সকলের জন্য তিনি বহু ছড়া ও গল্প রচনা করেছেন। তিনি ছোটদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।
তাঁর লেখা সবার চেয়ে ভালো, ভালো লাগে, ছাগলের কাণ্ড, বাংলাটা ঠিক আসে না সহ আরও বহু কবিতা ও ছড়া জায়গা করে নিয়েছে জনপ্রিয়তার শিখরে। সুকুমার রায়ের উত্তরসূরি বলে তিনি পরিচিত। সুকুমার রায় শতবার্ষিকী পুরস্কার, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার ছাড়াও তিনি আরও বহু পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা হাওড়া এলাকা জুড়ে। ইভিএম নিউজ