ব্যুরো নিউজ,২৪ মার্চ : নতুন সপ্তাহের শুরুতেই শুরু হতে চলেছে দিল্লি বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সোমবার, ২৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশন চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। দিল্লির পুরোনো সচিবালয়ে সকাল ১১টা থেকে অধিবেশন শুরু হবে। এ বছরের বাজেট অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে দিল্লি সরকারের আর্থিক পরিকল্পনা, নীতি ও প্রকল্পগুলোর দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
তেলেঙ্গানা বাজেট ২০২৫: হায়দ্রাবাদের উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার বাড়তি বরাদ্দ
দিল্লি বিধানসভার স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে ২৫ মার্চ দিল্লি সরকারের বার্ষিক বাজেট উপস্থাপন করা হবে। এটি নয়া দিল্লি সরকারের প্রথম বাজেট হতে চলেছে। পাশাপাশি, অধিবেশনে দিল্লির বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার দিকনির্দেশনাও দেওয়া হবে।এছাড়া, বাজেট অধিবেশনে তৃতীয় সিএজি (CAG) রিপোর্টও পেশ করা হবে, যা দিল্লি পরিবহন কর্পোরেশন (DTC)-এর কার্যক্রমের মূল্যায়ন করবে। এই প্রতিবেদন রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।
দিল্লি বনাম লখনউ: হাইভোল্টেজ আইপিএল ম্যাচ কার দাপট বেশি?
বাজেট অধিবেশনের মূল কার্যসূচি
এই অধিবেশন চলাকালীন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১. বাজেট উপস্থাপনা (২৫ মার্চ)
এই দিন দিল্লি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করা হবে, যেখানে বিভিন্ন খাতের অর্থ বরাদ্দ, উন্নয়ন প্রকল্প এবং আর্থিক নীতির রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
২. সাধারণ আলোচনা (২৬ মার্চ)
বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বিধায়করা এই আলোচনায় সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন বরাদ্দের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করবেন।
৩. বাজেট অনুমোদন ও ভোটাভুটি (২৭ মার্চ)
এই দিন বাজেট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং বিধানসভার সদস্যরা ভোটাভুটির মাধ্যমে বাজেট অনুমোদন করবেন। যদি কোনো সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়, তবে সেটিও আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
৪. প্রাইভেট মেম্বার্স’ রেজোলিউশন (২৮ মার্চ)
বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে প্রাইভেট মেম্বার্স’ রেজোলিউশন-এর জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এই পর্বে বিধায়করা ব্যক্তিগতভাবে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন, যা সরকারের বিভিন্ন নীতি ও প্রকল্পের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব ও বিধায়কদের করণীয়
বাজেট অধিবেশন চলাকালীন ২৪, ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে। এই পর্বে বিধায়করা বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের কাছে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাইতে পারবেন।প্রতি অধিবেশন সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থাকবে। স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত জানিয়েছেন যে বিধায়কদের নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং প্রতিদিন সকাল ১০:৫৫ টায় কোয়ারাম বেল বাজবে।বিধায়কদের জন্য প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ সময় বিকেল ৫টা। প্রথম ১০টি নোটিস নির্বাচন করা হবে এবং সেগুলোর ওপর আলোচনা হবে।
IPL 2025: শুরু ২২ মার্চ, কোথায় কবে ম্যাচ, কীভাবে কিনবেন টিকিট?
সুষ্ঠু অধিবেশনের নির্দেশনা
স্পিকার বিধায়কদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সকল বিধায়কদের নিয়ম মেনে প্রশ্ন, রেজোলিউশন এবং বিশেষ উল্লেখের জন্য নোটিস জমা দিতে হবে। বিধানসভার নিয়মাবলী অনুসরণ করলেই অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।”এছাড়া, ২৮ মার্চের প্রাইভেট মেম্বার্স’ রেজোলিউশন জমা দিতে বিধায়কদের অন্তত ১২ দিন আগে আবেদন করতে হবে।
এই বাজেট অধিবেশন দিল্লির অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলে বাজেট অধিবেশন নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে, কারণ এই বাজেটই নির্ধারণ করবে দিল্লির আগামী বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ।
