ব্যুরো নিউজ,৬ ডিসেম্বর:বর্তমানে সিপিএমের মধ্যে একটি নতুন সমস্যা সামনে এসেছে।সেটা হল দলের সদস্যদের আয় গোপন করার প্রবণতা। শহরাঞ্চলে এই প্রবণতা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। সিপিএমের এরিয়া স্তরের সম্মেলন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দলের নেতারা এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দলের নেতাদের দাবি কিছু সদস্য তাদের প্রকৃত আয় গোপন করে দলের নথিতে কম আয় দেখাচ্ছেন যা দলের অর্থনৈতিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে সিপিএমের সদস্যদের পদের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে এবং সেই সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে।
২০১৬ সালের মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বসিত আলির বিতর্কিত মন্তব্য
সময়সাপেক্ষ
সিপিএমের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণে, দলের সদস্যদের তাদের আয় ঘোষণা করতে হয় এবং সেই অনুযায়ী চাঁদা দিতে হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আয় অনুযায়ী সদস্যদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিতে হয়, যা দলীয় পরিভাষায় ‘লেভি’ হিসেবে পরিচিত। তবে গ্রামাঞ্চলে যেখানে সদস্যদের আয় কম সেখানে এই সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যাচ্ছে। কিন্তু শহরাঞ্চলে বিশেষ করে যারা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন বা ব্যবসায়ী, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেকটাই বেশি। তারা তাদের অতিরিক্ত আয় গোপন করছেন যা দলের জন্য এক বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।এছাড়াও, সিপিএমের কিছু সদস্য যারা শিক্ষক বা সরকারি চাকুরিজীবী, তারা তাঁদের প্রাইভেট টিউশন থেকে পাওয়া আয় গোপন করেন। এমনকি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সদস্যরা আয় গোপন করার প্রবণতা বেশি দেখাচ্ছেন।
বাংলাদেশি হাইকমিশনারদের দেশে ফেরানো নিয়ে বিক্ষোভ
সিপিএম নেতারা এই বিষয়ে বলেন ‘এমন একটি সংকটের মধ্যে সাংগঠনিক কাঠামো টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে।’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, এই সংকট কাটানোর জন্য দলের মধ্যে সঠিক বোধ তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেছেন, যে যান্ত্রিকভাবে কড়াকড়ি করার চেয়ে, পার্টির প্রতি সদস্যদের আরও দায়বদ্ধতা তৈরি করতে হবে। দলের ক্যাডারনীতি এবং সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতারা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছেন, কিন্তু বিষয়টি আরও সময়সাপেক্ষ।