ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর:কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। যদিও অতিমারীর দাপট বর্তমানে কিছুটা কমেছে, তবুও তার প্রভাব এখনও স্পষ্ট। করোনার ভয়াবহ দিনগুলি আজও মানুষের মনে ভেসে ওঠে। এবার নতুন আতঙ্কের নাম এক্সইসি, যা কোভিড-১৯-এর একটি নতুন প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট ইউরোপ এবং আমেরিকায় সংক্রমণের গ্রাফকে আবার ঊর্ধ্বমুখী করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমেরিকা সফর: কোয়াড সামিট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান
ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পাবে
গত জুন মাসে জার্মানিতে প্রথম দেখা পাওয়া এক্সইসি এখন পর্যন্ত ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর দ্রুত সংক্রমণের গতিতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন যে, আগামী মাসগুলিতে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পাবে। নতুন কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, এক্সইসি কোভিডের টিকাকেও কার্যকরভাবে অকার্যকর করতে সক্ষম হতে পারে।এক্সইসি আসলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবভ্যারিয়েন্ট, যা কেএস.১.১ ও কেপি.৩.৩ ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণ। এই ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিজ্ঞানীরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছেন। ব্রিটেনে এক্সইসির সংক্রমণ রোধের জন্য বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।চসাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাস মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য এক অদ্ভুত পদ্ধতি অবলম্বন করছে। বিশেষ করে, ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন মস্তিষ্কে প্রবেশের জন্য একটি ‘খিড়কির দরজা’ ব্যবহার করছে। এই পদ্ধতির ফলে করোনা রোগীদের মধ্যে বিভিন্ন স্নায়ুর অসুখের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।
দুর্গাপুজোয় ছন্দপতন: মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, ভারতে গত জুন ও জুলাই মাসে ৯০৮ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন ঢেউ আবারও বাড়তে শুরু করেছে, যা নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবের কারণে হতে পারে।সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকাদানের উপর জোর দেওয়ার মাধ্যমে আমরা এই নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারি।