ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর :অতিরিক্ত কাজের চাপে মৃত্যুর গুরুতর অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। কেরালার বাসিন্দা ২৬ বছরের অ্যানা সেবাস্টিয়ান পেরাইল পুনেতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে মারা যান বলে অভিযোগ করেছেন তার মা। এই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং কর্পোরেট ওয়ার্ক কালচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন, ভোটদানে উৎসাহজনক সাড়া
অতিরিক্ত কাজের চাপ
পুলিশি তৎপরতায় বিহারে উদ্ধার ২০০ জন বাংলার যুবক
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে টুইট করে জানান, ‘অ্যানার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। অসুরক্ষিত কাজের পরিবেশ এবং অতিরিক্ত চাপের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে’। অ্যানা মাত্র চার মাস আগে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং নামক একটি কনসালট্যান্ট ফার্মে যোগদান করেছিলেন। তার মা অনিতা অগাস্টিন অভিযোগ করেছেন, ‘কর্মস্থলে অতিরিক্ত কাজকে মহৎ কাজ হিসেবে দেখা হতো। মেয়েটি প্রথম চাকরিতে ছিল এবং এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেয়ে খুব খুশি ছিল। কিন্তু মাত্র চার মাস পরেই ২০ জুলাই সে মারা যায়।’
বিরল মহাজাগতিক বিস্ফোরণের সাক্ষী হতে প্রস্তুত ‘বশিষ্ঠ’ ও ‘অরুন্ধতী’
অনিতার দাবি, অ্যানাকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হতো, এমনকি ফিরতে ফিরতে পোশাক পরিবর্তনেরও শক্তি থাকত না। তিনি জানান, ‘অ্যানার মৃত্যুর খবর শুনে আমার গোটা দুনিয়া উজাড় হয়ে গিয়েছে।’অ্যানার কাহিনী সামনে আসার পর, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্পোরেট জীবনের চাপ ও তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে শুরু করেছেন। বেশিরভাগের অভিজ্ঞতা বহু কর্মী অতিরিক্ত কাজ করলেও ওভারটাইমের জন্য পারিশ্রমিক পায় না।
আরজি কর আবহেই পুলিশি হেনস্থা , প্রতিবাদে সোচ্চার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
অ্যানার মৃত্যু এখন এক বৃহৎ সমস্যার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়াজ তুলছেন, দাবি করছেন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশের জন্য। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং তাদের কাজের চাপ কমানোর উপায় খুঁজতে হবে।