ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর:বিহার পুলিশের তৎপরতায় বাংলার প্রায় ২০০ যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ভুয়ো চাকরি চক্রের শিকার হয়ে বিপদে পড়েছিলেন। সম্প্রতি পুর্ণিয়ার পুলিশ এই যুবকদের উদ্ধার করে।এই যুবকরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের খোঁজে বিহারে গিয়েছিলেন। পুলিশি অভিযানে জানা গেছে, ওই যুবকদের বিহারে এনে তাদের আটকে রাখা হত, এবং তাদের সঙ্গে অবমাননাকর আচরণ করা হত।
আরজি কর আবহেই পুলিশি হেনস্থা , প্রতিবাদে সোচ্চার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের
তিন মাস ধরে পুর্ণিয়ায় এই চক্রটি সক্রিয় ছিল
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই যুবকদের ভুয়ো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারে আনা হয়েছিল। পুর্ণিয়ার পুলিশ সুপার কার্তিকেয় শর্মা জানান, “প্রায় তিন মাস ধরে পুর্ণিয়ায় এই চক্রটি সক্রিয় ছিল। সদর থানার রামবাগ এলাকার বিভিন্ন ভাড়া বাড়িতে প্রায় ২০০ যুবককে আটক রাখা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “তাদের মেডিক্যাল সংস্থায় চাকরির ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনা হয়েছিল।”এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের মধ্যে চারজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে যুবকদের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেছে। এসব যুবক সকলেই দরিদ্র পরিবারের সদস্য, তাই তাদের ফাঁদে ফেলা সহজ হয়েছে।”
ওজন কমানোর আদর্শ বন্ধু আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে? জানেন কি
উদ্ধার হওয়া যুবকদের থেকে আরও তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছেন, চাকরি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শহরে লিফলেট ও হ্যান্ড বিল বিতরণ করা হচ্ছিল। যুবকদের ফোন করলে বলা হত, কাজ পেতে হলে বিহারের পুর্ণিয়ায় যেতে হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা অখিল মণ্ডল জানিয়েছেন, “আমাদের পুর্ণিয়া পৌঁছতে বলা হয়, চাকরি পেতে হলে ২১ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আমরা ফোন পে-র মাধ্যমে সেই টাকা দিই।”অখিলের দাবি, ওই চক্রের সদস্যরা প্রায় ৫০০ জন যুবককে আটক রেখেছিল। তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পেতেন না এবং বাধ্য হতেন পরিচিতদেরকে কাজের সন্ধানে পুর্ণিয়ায় ডেকে আনতে।বিহার পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মাথাকে পাকড়াও করার জন্য তারা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং আশা করছে শীঘ্রই পলাতক ওই ব্যক্তিটিকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে, ভুয়ো চাকরি চক্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সমাজের সকলকে সাবধান থাকতে হবে এবং প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে।