ব্যুরো নিউজ ১২ জুন : ওড়িশার ভদ্রক জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর, রাজ্য সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেছে। গতকাল, বুধবার, দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই সংঘর্ষটি সম্প্রতি তিহিদি এলাকায় ঘটেছিল, যেখানে এক ‘গোরক্ষক’ বা প্রাণী অধিকার কর্মী পশু কোরবানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সংঘর্ষে আহত ওই ব্যক্তি গতকাল হাসপাতালে মারা যান। নিহত ‘গোরক্ষক’-এর মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল এলাকায় উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ও ১৪৪ ধারা জারি
শান্তি ভঙ্গ এড়াতে, জেলা প্রশাসন ভদ্রক ব্লক ও তার পৌরসভা এলাকা, তিহিদি ব্লক, ধামনগর ব্লক এবং সংলগ্ন নোটিফাইড এরিয়া কাউন্সিল (NAC) অঞ্চলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এর ১৬৩ ধারার অধীনে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করার জন্য আজ সকাল ৬টা থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ভদ্রকের উল্লিখিত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রত্যাহার করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, এক্স এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
পুলিশি পদক্ষেপ ও গ্রেফতার
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রথম তথ্য প্রতিবেদন (FIR) দায়ের করা হয়েছে। মোট ১২ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতকারীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভদ্রক, তিহিদি এবং ধামনগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
এদিকে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি নিহত ব্যক্তির বিধবাকে ১০ লাখ টাকা এক্স-গ্রাটিয়া ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন।
পূর্বের ঘটনা ও বর্তমান পরিস্থিতি
উল্লেখ্য, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বরও উপকূলীয় ভদ্রক জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখা গিয়েছিল, যখন একটি বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে, প্রশাসন শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।