ব্যুরো নিউজ, ১৫ মে: এদিকে যখন CAA- নিয়ে তোলপাড় রাজ্য- রাজনীতি। তখন দেশে প্রথমবার CAA-র অধীনে নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ জন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন শাহ?
CAA- নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী শিবিরগুলি। তাদের অভিযোগ, নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিতেই কেন্দ্র সরকার এই আইন আনতে চলেছে। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপি শিবিরের বক্তব্য প্রথম থেকেই ছিল স্পষ্ট। তারা একাধিকবার দাবি করেছে, CAA-র অধীনে কারোর নাগরিকত্ব যাবেনা। আর বিরোধী দলগুলি সাধারণ মানুষকে CAA নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল বোঝাচ্ছে। CAA-কে ইস্যু করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কাচ্ছে। আর এবার কার্যত তা প্রমান হয়ে গেল। এই প্রথমবার CAA-র অধীনে নাগরিকত্ব পেলেন ১৪ জন।
গতকালই বনগাঁয় নির্বাচনী পচারে এসে জনসভা করেন অমিত শাহ। আর সেখান থেকেই তিনি CAA নিয়ে করা বিরোধীদের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে বলেন, মতুয়া সমাজের জন্য সিএএ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, দিদি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় নিয়ে আসছেন ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি করতে। আর এদিকে তিনি বাংলায় মতুয়া সমাজকে নাগরিকত্ব না দেওয়ার জন্য বাংলায় সিএএ করতে দেবেন না বলে গলা ফাটাচ্ছেন। শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। একই সঙে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, সিএএ নিয়ে ভয় পাবেন না। আপনাদের অ্যাপ্লিকেশন আপলোড করুন। কেউ সমস্যা পড়লে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শান্তনু ঠাকুর সকলের ঘরে ঘরে গিয়ে সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেবেন। আর আমি সকলকে এই নিয়ে আশ্বাস দিচ্ছি।
এরপর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিধি জারি করার প্রায় দুই মাস পর আজই এই আইনের অধীনে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব পান ১৪ জন। আজ নয়া দিল্লিতে আবেদনকারী ১৪ জনের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।
২০১৯ সালেই পাস হয় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন। এরপর চলতি বছর ১১ মার্চ এই আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র সরকার। সিএএ- অধীনে কীভাবে সরকারি ওয়েবসাইটে নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবে, এছাড়াও এর জন্য কী কী নিয়ম রয়েছে তা সবই জানানো হয়। এরপর আজ নয়া দিল্লীতে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ডাক বিভাগের সচিব, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর-সহ পদস্থ কর্তা-ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে প্রথমবার CAA-র অধীনে ১৪ জনকে নাগরিকত্ব তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।