ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য গাঁথায় নতুন একটি পালক যুক্ত হল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আইটকেন অববাহিকার নিকটে অবতরণ করা রোভার একটি বিশাল ১৬০ কিমি চওড়া গর্তের সন্ধান পেয়েছে। আমদাবাদের ‘ফিজিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’-র বিজ্ঞানীরা প্রকাশিত ‘সায়েন্স ডিরেক্ট’ সাময়িকীর নতুন সংস্করণে এই আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে। গত বছরের ২৩ অগাস্ট চাঁদে অবতরণের পর থেকে রোভার একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
বাংলায় কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো কলকাতা হাওয়া অফিস
১৬০ কিমি চওড়া গর্তের সন্ধান
রোভারটি যখন আইটকেন অববাহিকার কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল, তখন ১৬০ কিমি চওড়া গর্তটির সন্ধান পায়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গর্তটির সৃষ্টি আইটকেন অববাহিকা তৈরি হওয়ার আগেই হয়ে গেছে, যার ফলে এটি চাঁদের পৃষ্ঠে আবিষ্কৃত প্রাচীনতম ভূতাত্ত্বিক কাঠামোগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গর্তটির বয়স এত বেশি যে এটি ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল।গর্তটি তৈরি হওয়ার পর চাঁদের মাটিতে ঘটেছে বিভিন্ন ঘটনা, যার কারণে এই ধ্বংসস্তূপের সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আইটকেন অববাহিকার বয়স প্রায় ৪২০ কোটি বছর। রোভার যে গর্তটির সন্ধান পেয়েছে, তা আইটকেন অববাহিকার আগের তৈরি, তাই এর বয়সও কমপক্ষে ৪২০ কোটি বছর হবে।
কোয়াড বৈঠকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সম্প্রসারণবাদ নিয়ে আলোচনা
রোভারটি অপটিকাল ক্যামেরা ব্যবহার করে গর্তটির উচ্চ-রেজোলিউশন ছবি তুলেছে। এই ছবিগুলি থেকে গর্তটির গঠন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে সুবিধা হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণায় এই আবিষ্কার একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।চাঁদের গোড়ার দিকে ভূতাত্ত্বিক গঠনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে এই গর্তটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বিজ্ঞানীরা চাঁদের প্রাচীন ইতিহাস এবং ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলি বোঝার ক্ষেত্রে নতুন দিশা পাবে।এই আবিষ্কারটি শুধু ভারতের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য মহাকাশ গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হবে।
URL Slug: chandrayaan-3-rover-discovery-160-km-crater