ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি:ক্রিকেট বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি “মিনি বিশ্বকাপ” নামে পরিচিত।এটি আইসিসির একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ ছিল, যা ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে নতুন করে দেশে জনপ্রিয় করতে সহায়তা করেছিল। আইসিসির লক্ষ্য ছিল, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকে আরও অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দেওয়া এবং সেই অর্থ দিয়ে ক্রিকেটের উন্নতি সাধন করা। প্রথম দুই আসর ছিল বাংলাদেশ (১৯৯৮) ও কেনিয়া (২০০০)–তে, তবে সে সময় সেখানে কোনো পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের প্রতিনিধিত্ব ছিল না।২০১৭ সালের পর ৮ বছর পর ২০২৫ সালে আবার শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এবার পাকিস্তানে। ২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তান তার মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি। তবে ২০১৬ সাল থেকে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তানে ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবার পাকিস্তানে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তাই পিসিবির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ওডিশা বাজেট ২০২৫-২৬ঃ কৃষকদের উন্নতির জন্য বিশাল বরাদ্দ, বরাদ্দ ১৪,৭০১ কোটি টাকা
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক কি বললেন?
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম উল হক বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণে আমাদের ক্রিকেট অনেক পিছিয়ে পড়েছিল, কিন্তু আমরা এবার নতুন করে দাঁড়িয়ে উঠতে চাই।’’ আর পিসিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামিজ রাজাও মনে করেন, ‘‘এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের জন্য একটি নতুন সুযোগ, যা আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে।’’ পাকিস্তানের সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে, আর ৭৭ বছর বয়সী ব্যবসায়ী হাজি আবদুল রজ্জাকও উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা মনে হচ্ছে যেন নতুন জন্ম হয়েছে।
সন্ত্রাস আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছিল, কিন্তু আজ আবার ক্রিকেট ফিরেছে।’’এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুধু পাকিস্তানের জন্যই নয়, একদিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টির উত্থানে একদিনের ক্রিকেট অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল, কিন্তু আইসিসি আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাধ্যমে একদিনের ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছে।শেষবার ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। এবার তারা আবার আয়োজক। প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তান বড় কোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। যদিও, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তানে আসতে রাজি হয়নি, তাই চারটি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্যাবলেটে কেন থাকে আড়াআড়ি দাগ? জানুন এর পিছনে লুকোনো কারণ!
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আছে। যদিও দু’দেশের মধ্যে সরাসরি ক্রিকেট সম্পর্ক বন্ধ, কিন্তু তাদের মুখোমুখি হওয়ার উত্তেজনা সবার মধ্যে থাকে। এবার, পাকিস্তানের গ্রুপে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তান রয়েছে অন্য গ্রুপে।এই প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটপ্রেমীদের শুধু উত্তেজনা নয়, অনেক বড় ধরনের প্রতিযোগিতা আশা করছেন। শেষ পর্যন্ত, সাদা বলের ক্রিকেট ব্যাটারদের খেলা হলেও, বোলারদের অবদানও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে বিশ্বের সেরা কিছু বোলারদের অনুপস্থিতি নিয়ে কিছু সংশয় রয়েছে।এটা যেমন পাকিস্তানের জন্য বড় সুযোগ, তেমনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাধ্যমে একদিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যতও একটু ঝলক দেখাতে পারে। সব মিলিয়ে, এই প্রতিযোগিতা ক্রিকেট বিশ্বের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত হতে চলেছে।