ব্যুরো নিউজ ২১ মে : গ্রীষ্মকালে ঘোল (বাটারমিল্ক) অনেকেরই পছন্দের পানীয়। এটি পান করলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং মন শান্ত থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কিছু মানুষের জন্য ঘোল পান করা ক্ষতিকারক হতে পারে? এমন ব্যক্তিদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত অথবা কম পরিমাণে পান করা উচিত। এই প্রবন্ধে আমরা জানব কাদের ঘোল পান করা এড়িয়ে চলা উচিত।
বেদে মাংস ভক্ষণের সমর্থন নেই – প্রমাণসহ তথ্য !
ঘোল পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী?
- ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: ঘোলে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোজ থাকে, যা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের হজম করতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে পেট ফোলা, গ্যাস এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।
- হজমে সমস্যা: ঘোলে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের ফ্লোরায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যার ফলে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- কোলেস্টেরল বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ঘোল পান করলে এর উচ্চ চর্বি উপাদানের কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা: ঘোলে টাইরামিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এই পদার্থের প্রতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
গরমকালে ঘাম ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে ৬টি জরুরি স্বাস্থ্য সম্মত উপায়
কাদের ঘোল পান করা এড়িয়ে চলা উচিত?
- দুধে অ্যালার্জি: যাদের দুধে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়, তাদের কখনো ঘোল পান করা উচিত নয়। কারণ তারা ঘোল পান করার সময় হয়তো বুঝতে পারেন না, কিন্তু পরে ধীরে ধীরে তাদের শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করে।
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ঘোলে লবণ মিশিয়ে পান করেন, কিন্তু লবণের অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তচাপ রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই ব্যক্তিদের ঘোল পানের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- কিডনি রোগী: ঘোলে পটাসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা কিডনি রোগীদের জন্য ভালো নয়। তাই তাদের হয় ঘোল পান করা উচিত নয়, অথবা খুব অল্প পরিমাণে পান করা উচিত।
- অ্যাসিডিটির রোগী: অ্যাসিডিটির রোগীদের ঘোল থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ তারা ঘোল পান করলে তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।