ব্যুরো নিউজ ,৩ মে: আইপিএল ২০২৫-এ রাজস্থান রয়্যালস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের পরে দেখা গেল এক চমকপ্রদ দৃশ্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পেস তারকা জসপ্রীত বুমরাহ দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন রাজস্থানের পেসার তুষার দেশপাণ্ডের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ধ্রুব জুরেলও। তবে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ পেয়ে যান তুষারই। বোঝাই যাচ্ছিল, বুমরাহ তাকে গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিচ্ছেন বোলিংয়ে উন্নতি আনার জন্য।
চাপের সময় লড়াই করার কৌশল
বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন ও তরুণ পেসারদের কাছে বুমরাহ আজ এক আদর্শ নাম। তার ইয়র্কার, নিখুঁত লাইন-লেন্থ এবং চাপের সময় ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলার কৌশল প্রশংসিত হয় সব জায়গায়। ফলে, অনেকেই সুযোগ পেলে তার থেকে শিক্ষা নিতে মরিয়া থাকেন। ঠিক তেমনই তুষার দেশপাণ্ডেও শোনেন মন দিয়ে।
বিশেষ করে স্লগ ওভারে ব্যাটাররা বড় শট খেললে বোলারের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত, সেই কথাই পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন বুমরাহ। মুম্বইয়ের এই পেসার তুষারকে বলেন, ‘আগ্রাসী মানসিকতা রাখতে হবে। সব বলেই উইকেট পড়বে এমন নয়, কিন্তু ভালো বল করতে হবে। আর ব্যাটারকে আউট করার মনোভাব রাখতে হবে। ওরা চাইলে একটা চার বা ছয় মারবে, কিন্তু আমি পরের বলেই ওকে আরও চাপে ফেলব। তুই মার, কিন্তু এরপর আমি তোকে হারাব।’
তুষারের আইপিএল ২০২৫ মরসুম একেবারেই ভালো কাটেনি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আট ম্যাচে মাত্র ৬টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলতেন, সেখানে ধোনির কাছ থেকে নিয়মিত টিপস পেতেন। এবারে সেই সহায়তা না পেয়ে যেন ছন্দ হারিয়েছেন এই ২৯ বছর বয়সী পেসার। তাই বুমরাহর এই টিপস তাকে ফের নিজের আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
রাজস্থান রয়্যালসের দলগত পারফরম্যান্সও হতাশাজনক। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে তাদের এবারের আইপিএল অভিযান এখানেই শেষ হয়েছে। ১১টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দলের অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টের একাধিক ভুলও দলকে বেকায়দায় ফেলেছে।
এখন রাজস্থান রয়্যালসের সামনে শুধু সম্মানের লড়াই। রবিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তাদের শেষ ম্যাচ কেকেআরের বিরুদ্ধে। তবে সেই ম্যাচের আগেই বুমরাহর দেওয়া এই পরামর্শ তুষার দেশপাণ্ডের জন্য হতে পারে নতুন উদ্যমে ফেরার প্রেরণা।
বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারের কাছ থেকে এই টিপস তুষারের কেরিয়ার ঘুরিয়ে দিতে পারে। আইপিএল মঞ্চে এমন দৃশ্য দেখেই ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন, “এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য — প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও শিক্ষা ও বন্ধুত্ব।”