blood group cause of brain stroke

ব্যুরো নিউজ ৭ জুলাই: সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোকের একটি গভীর যোগসূত্র রয়েছে। শুনে অবাক লাগলেও, বিশেষত ‘A’ গ্রুপের রক্ত যাদের রয়েছে, তাদের জন্য স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। গবেষণা বলছে, এই রক্তের গ্রুপের মানুষেরা তুলনামূলক কম বয়সেই ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

 বিশ্বে প্রতি বছর আক্রান্ত হন কোটি কোটি মানুষ

গরমকালে ঘাম ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে ৬টি জরুরি স্বাস্থ্য সম্মত উপায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যমতে, প্রতি বছর দেড় কোটির বেশি মানুষ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৫০-৬০ লক্ষ মানুষের দেহ পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে যায়। স্ট্রোক খুবই হঠাৎ করে ঘটে, অনেক সময় আগে থেকে বোঝাও যায় না।

 গবেষণায় কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

আমেরিকার University of Maryland School of Medicine–এর গবেষকেরা ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এই সম্পর্ক আবিষ্কার করেছেন। স্টিভেন জে কিটনার ও তাঁর গবেষণা দলের বক্তব্য অনুযায়ী, যাঁদের রক্তের গ্রুপ ‘A’, তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ১৬ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ‘O’ গ্রুপের মানুষেরা অনেকটাই সুরক্ষিত, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।

ঋতুস্রাবের দিন গুলোতে কি জরায়ুর পেশিতে জন্ত্রনা? ব্যথার ওষুধ নয়, পাতে আনুন সঠিক খাবার

 স্ট্রোক কীভাবে হয়?

ব্রেন স্ট্রোক সাধারণত দু’ভাবে হয়:

  1. ইস্কিমিক স্ট্রোক (Ischemic Stroke): মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়ে রক্ত জমাট বাঁধে।

  2. হেমারেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic Stroke): মস্তিষ্কের রক্তজালিকা ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

মূলত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসই এর প্রধান কারণ।

 রক্তের গ্রুপ ‘A’? সতর্কতা অবলম্বন জরুরি!

যাদের রক্তের গ্রুপ ‘A’, তাদের জন্য কিছু বাড়তি সাবধানতা অত্যন্ত প্রয়োজন:

  • রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

  • ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে

  • প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করতে হবে

  • পর্যাপ্ত জল পান ও ঘুম অপরিহার্য

  • ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে

  • পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে, বয়স ৩০ পেরনোর পর থেকে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে

 ট্রান্সিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাক (TIA): প্রথম সতর্কবার্তা

স্ট্রোকের আগে শরীর একাধিক সংকেত দেয়। কিছু সাধারণ লক্ষণ:

  • হঠাৎ জিভ অসাড় হয়ে যাওয়া

  • কথা আটকে যাওয়া

  • হাত বা পা অসাড় হওয়া

  • দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা চোখে ঝাপসা দেখা

এই উপসর্গগুলো কয়েক মিনিট থাকলেও অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ‘মিনি স্ট্রোক’ বা TIA, যা ভবিষ্যতের বড় স্ট্রোকের ইঙ্গিত দিতে পারে।

রক্তের গ্রুপ আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও, জীবনযাত্রা কিন্তু আমাদের হাতে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক সচেতনতাই ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর