ব্যুরো নিউজ ৩০ অক্টোবর ২০২৫ : পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর (Special Intensive Revision)-এর কাজ শুরু হওয়ার আগেই ১৪৩ জন বুথ লেভেল অফিসারকে (BLO) বরখাস্ত করা হতে পারে। এমনটাই কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিএলও এখনও পর্যন্ত নিজেদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন কিংবা প্রশিক্ষণে যোগ দেননি।
কমিশনের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের বিএলও-রা
জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাস থেকে যেসব বুথ লেভেল অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকে এখনও দায়িত্বভার গ্রহণ করতে বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে রাজি হননি। এই কারণে নির্বাচন কমিশন তাঁদের কাছে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত ডিইওদের (District Election Officer) সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকে কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডিইওদের কাছ থেকে কাজের পদ্ধতি এবং অগ্রগতি জানার সময়ই রাজ্যের বুথ লেভেল অফিসারদের কাজে যোগ না দেওয়ার চিত্রটি কমিশনের নজরে আসে। সিংহভাগ বিএলও কাজে যোগ দিলেও অনেকে এখনও রিপোর্ট জমা দেননি।
WB SIR ECI : ভোটারদের সহায়তা প্রদানে কমিশনের তৎপরতা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি আবশ্যক
বিএলও সাসপেন্ডের নির্দেশিকা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার মধ্যে যদি এই ১৪৩ জন বুথ লেভেল অফিসার—যাঁরা কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর কলকাতার অন্তর্ভুক্ত—কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে সাসপেন্ড করতে হবে।
বিপর্যয়-বিধ্বস্ত জেলার কাজে খুশি কমিশন
অন্যদিকে, কমিশন সাম্প্রতিক উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়-বিধ্বস্ত জেলাগুলির ডিইওদের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই জেলাগুলি (কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং) বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করছে। এই ক্যাম্পগুলির মাধ্যমে যেসব মানুষ বন্যায় তাদের নথি হারিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যয়িত নকল নথি তৈরি করে দেওয়া হবে।
কমিশন আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সব জেলার ডিইওদের স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক শেষ করে কমিশনের নির্দেশ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে হবে।
শুরু এসআইআর ফর্ম জেনারেটের কাজ
এসআইআর-এর ফর্ম জেনারেট করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং অনেক জেলায় ইতিমধ্যেই তা ছাপানোর কাজও শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আশা করছে, আগামী দুই দিনের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে। এই জরুরি বৈঠকের পর কমিশন প্রত্যাশা করছে, বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও এই রাজ্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে এসআইআর-এর কাজ শেষ হবে।



















