ব্যুরো নিউজ, ২৭শে নভেম্বর ২০২৫ : এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করতে সার্ভারের সমস্যার বিষয়ে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) বারবার অভিযোগকে শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সার্ভার জটিলতার কারণে বিএলও-রা সময় মতো কাজ শেষ করতে পারছিলেন না। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে এবার নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন।
টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সিইও
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল শনিবার জানান, সোমবার দুপুর ১টায় রাজ্যের সব টেলিকম সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে এই সার্ভার সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।
কমিশনের পদক্ষেপ: বেশ কিছুদিন ধরেই সিইও-এর দপ্তরে এ নিয়ে অভিযোগ আসছিল। শুক্রবার ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর তিনি নির্দেশ দেন যে, রাজ্যের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে অবিলম্বে রাজ্যের টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পারিশ্রমিক বাড়ল বিএলও-দের, উৎসাহ দিতে উদ্যোগী কমিশন
কাজের চাপ, সময়ের অভাব এবং প্রযুক্তিগত সমস্যায় বিএলও-রা জর্জরিত। এমনকি, এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে একজন বিএলও অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালের বেডে শুয়েও তাঁকে এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে বিএলও-দের উৎসাহ দিতে তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক বৃদ্ধির ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
১৮ হাজার টাকা পারিশ্রমিক: ২২ নভেম্বর শনিবার ভোটকর্মী ও বিএলও ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, বিএলও-দের পারিশ্রমিক ৬ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করা হলো।
ডেটা খরচের টাকা: স্বপন মণ্ডল আরও জানান, ডিজিটাইজেশনের জন্য ডেটা খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকাও বিএলও-দের হাতে দ্রুত তুলে দেওয়া হবে।
WB ECI SIR : নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জেরে নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন, কলকাতা পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন
৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, চূড়ান্ত তালিকা ৭ ফেব্রুয়ারি
সার্ভার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগের পাশাপাশি, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল।
খসড়া তালিকা প্রকাশ: আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এই তালিকায় শুধুমাত্র তাঁদেরই নাম থাকবে, যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন।
যেখানে তালিকা দেখা যাবে: এই তালিকা রাজ্যের পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস, পৌরসভা, পুরসভা, মহকুমা শাসকের দপ্তর এবং জেলাশাসকের দপ্তরে টাঙানো হবে। পাশাপাশি, সিইও-এর ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে খসড়া ভোটার তালিকা।
চারটি বিশেষ ভাগ: এই খসড়া তালিকার পাশাপাশি আরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে, যেখানে মৃত ভোটার, অনুপস্থিত ভোটার, ভুয়ো ভোটার এবং স্থানান্তরিত ভোটারের নাম আলাদা করে উল্লেখ থাকবে। এটি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সংশোধন ও নতুন নাম তোলা: তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় এতে ভুল সংশোধন করা যাবে। তালিকায় নাম বাদ পড়া, নামের বানান ভুল বা ঠিকানার ভুল সংশোধন করা যাবে। এছাড়াও, নতুনভাবে নাম তুলতে চাইলে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে জমা দিতে হবে।
চূড়ান্ত তালিকা: ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে। এই তালিকাতেই আসন্ন ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে।



















