ব্যুরো নিউজ , ৮ ফেব্রুয়ারি:দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এক বিস্ময়কর জয় অর্জন করেছে। দীর্ঘ ২৭ বছরের বিরতির পর গেরুয়া শিবির আবার দিল্লির ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। এই নির্বাচনে গ্রেটার কৈলাস বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী শিখা রায় আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সৌরভ ভরদ্বাজকে পরাজিত করেছেন। শিখা রায় জিতেছেন ৩,১৮৮ ভোটের ব্যবধানে, যা তার বিজয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।শিখা রায় একজন পেশাদার আইনজীবী এবং ইতিমধ্যেই দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তাঁর জয়ের পর কেবল বিজেপি নয়, পুরো দিল্লি রাজনীতি যেন নতুন এক মোড় নিতে চলেছে।
দিল্লিতে কংগ্রেসের শূন্যের হ্যাটট্রিক
নতুন এক মোড়
নির্বাচনে শিখা রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আপের পোড়খাওয়া নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ, যিনি বহু সময় ধরে দিল্লির রাজনীতির অঙ্গ ছিলেন।শিখা রায়ের সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে। ৬০ বছর বয়সি শিখা রায় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের লুধিয়ানা সরকারি কলেজ থেকে কলা (এমএ) এবং চণ্ডীগড়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি করেছেন। মাই নেতা পোর্টাল অনুসারে, শিখা রায়ের মোট সম্পত্তি প্রায় ১৬ কোটি টাকার কাছাকাছি এবং তাঁর কাছে ৩ কোটি টাকার বেশি দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তিনি ২০২৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে গ্রেটার কৈলাস বিধানসভা কেন্দ্রে, আপের সৌরভ ভরদ্বাজ এবং কংগ্রেসের গারভিত সিংভির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বিজেপি ৩৯টি আসনে এগিয়ে ছিল, যখন আম আদমি পার্টি ১৩টি আসনে এবং কংগ্রেস ৯টি আসনে পিছিয়ে ছিল।৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন সম্পর্কে এক্সিট পোলগুলোর পূর্বাভাস ছিল যে, বিজেপি ৪৫-৫৫টি আসনে জয়ী হতে পারে, যা সত্যি হয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং আপের ফলাফল যথেষ্ট হতাশাজনক। ১০-১৮টি আসন পাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে আপের জন্য দুঃসময়ই অপেক্ষা করছিল।
অণ্ণা হজারের আক্ষেপ: কেজরীওয়াল ও আপের হারের পরামর্শের অভাব
অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যিনি আপের নেতৃত্বে ছিলেন, পরাজয়ের পর বলেছেন, “জনতার রায় বিনম্রভাবে গ্রহণ করছি। আমি বিজেপিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” তাঁর দাবি, তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল এবং বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে অনেক কাজ করেছেন, যা দিল্লিবাসীদের স্বস্তি দিতে সাহায্য করেছে। তবে, মানুষ যে বিশ্বাস নিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, সে বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছেন কেজরীওয়াল।