ব্যুরো নিউজ ২৩ জুন : গুরুতর অসুস্থ বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে মোটের উপর স্থিতিশীল। কলকাতা থেকে এয়ারলিফ্ট করে দিল্লিতে নিয়ে আসার পর তিনি দিল্লির এইমস (AIIMS) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, চিকিৎসায় তিনি ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন এবং শনিবার রাতে তাঁকে আইসিইউ (ICU) থেকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা
প্রাথমিকভাবে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁকে গ্রিন করিডোর করে দমদম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিকেল ৫.৩৫-এ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লির এইমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর শরীর থেকে ফ্লুইড বের করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসের পাশাপাশি তিনি গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল সেপসিসে (Gastrointestinal Sepsis) আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং চিকিৎসকেরা সর্বদা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখছেন। অগ্নাশয়ে সমস্যা থাকায় আপাতত তাঁকে কোনো শক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। আগামী ২-৩ মাস তাঁকে এইমস-এই থাকতে হতে পারে।
রাজনৈতিক মহলের তৎপরতা ও খোঁজখবর
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার ওপর নিবিড় নজর রাখছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে.পি. নাড্ডা স্বয়ং চিকিৎসা পদ্ধতিসহ সমস্ত বিষয়গুলির উপর নজর রাখছেন। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও নিয়মিত তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে রিপোর্টও সংগ্রহ করছেন। লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকেও এইমস হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এইমসে ভর্তি হওয়ার পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফোন করেছিলেন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। শুভেন্দু আশাবাদী, ২-৩ মাসের মধ্যেই প্রাক্তন বিচারপতি ফের কাজে ফিরতে পারবেন।
দিল্লিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন তাঁর ভাই, ভাইয়ের বউ এবং ভাইপো। তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন বাংলার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে তাঁদেরকেও গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।