ব্যুরো নিউজ ১২ আগস্ট ২০২৫ : বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের ১১ দিন পরেও রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক দাবি বা আপত্তি জমা পড়েনি বলে নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) মঙ্গলবার জানিয়েছে। তবে এর আগে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলি পৃথকভাবে প্রচুর ব্যক্তিগত আবেদন জমা দিয়েছে, যা সরাসরি কোনো আপত্তি না হলেও তালিকা সংশোধনের জন্য এক কৌশলগত পদক্ষেপ।
রাজনৈতিক দলগুলির ভিন্ন কৌশল
নির্বাচন কমিশনের প্রথম বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ১লা আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকে ১২ই আগস্ট সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দাবি বা আপত্তি জানায়নি। ভোটার তালিকা থেকে কোনো যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়া বা অযোগ্য ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক আপত্তি নেই। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
তবে, আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, রাজনৈতিক দলগুলি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা সরাসরি কোনো আপত্তি না জানালেও, ব্যক্তিগত ভোটারদের হয়ে ব্যাপক সংখ্যক আবেদন জমা দিয়েছে। ১ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ১.৬ লক্ষেরও বেশি দাবি ও আপত্তি জমা পড়েছে।
Bihar : বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় রাজনৈতিক দলগুলির কোনো আপত্তি নেই, জানাল নির্বাচন কমিশন
দাবি ও আপত্তির পরিসংখ্যান
ইসিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে জমা পড়া দাবি ও আপত্তির সংখ্যা নিম্নরূপ:
- ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি): ৫৩,৩৩৮টি
- রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি): ৪৭,৫০৬টি
- জনতা দল (ইউনাইটেড): ৩৬,৫৫০টি
- ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস: ১৭,৫৪৯টি
- অন্যান্য দল: বামদলসহ অন্যান্য রাজ্যভিত্তিক দলগুলিও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন জমা দিয়েছে।
এছাড়াও, সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির জন্য এবং অযোগ্যদের বাদ দেওয়ার জন্য ১০,৫৭০টি সরাসরি দাবি ও আপত্তি জমা পড়েছে। নতুন ভোটারদের পক্ষ থেকে ফর্ম ৬-এর মাধ্যমে ৫৪,৪৩২টি আবেদন জমা পড়েছে। যদিও বাদ যাওয়া প্রায় ৭২ লক্ষ নামের তুলনায় অভিযোগের পরিমাণ সামান্য , যা প্রমাণ করছে, নির্বাচন কমিশন এই প্রক্রিয়া কে সঠিক ভাবে পালন করেছে ।
ইসিআই জানিয়েছে যে, এই সমস্ত দাবি ও আপত্তিগুলি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার নীতি মেনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য কমিশন কাজ করছে। পাশাপাশি, কোনো নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আগে ইআরও/এইআরও-কে অবশ্যই একটি ‘স্পিকিং অর্ডার’ জারি করে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে, যা পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখবে।