ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর ২০২৫ : বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোটগ্রহণ শেষ হবার পরেই বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল প্রকাশিত হয়েছে। অধিকাংশ সমীক্ষাতেই বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি জেডিইউর জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (NDA)-এর পক্ষে সুস্পষ্ট জয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়া টিভি-ম্যাট্রিজ সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, ২৪৩ আসনের বিধানসভায় এনডিএ ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন নিয়ে সহজেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। সরকার গড়তে দরকার ১২২টি আসন।
এই এক্সিট পোল অনুসারে, এনডিএ জোট এককভাবে ৪৮ শতাংশ ভোট পেতে পারে। জোটের দলগুলির মধ্যে জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সর্বাধিক ৬৭ থেকে ৭৫টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৬৫ থেকে ৭৩টি আসন পেতে পারে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন জোট ৭০ থেকে ৯০টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলছে।
এক্সিট পোল নিয়ে বিরোধী দলের তীব্র প্রতিক্রিয়া
এক্সিট পোলের ফল প্রকাশের পর মহাজোটের নেতারা এই পূর্বাভাসকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তেজস্বী যাদবের অনাস্থা: মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব এক্সিট পোলগুলিকে বিজেপির নির্দেশে করানো বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর মতে, এই ফলগুলি কেবল ভোটারের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলতেই প্রকাশ করা হচ্ছে।
আরজেডি-র মনোজ ঝা-র মন্তব্য: বরিষ্ঠ আরজেডি নেতা মনোজ ঝা এই সংখ্যাগুলিকে ‘বড় লোকেদের’ দেওয়া বলে অভিহিত করেছেন এবং এটিকে কেবলই ‘মনস্তাত্ত্বিক খেলা’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছেন, ১৪ নভেম্বর মহাগঠবন্ধনের সরকারই গঠিত হবে।
পাপ্পু যাদবের অভিযোগ: পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব এক্সিট পোলকে ‘চুরির মাধ্যম’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলছেন, “সীমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে, এবং আপনারা দেখুন সীমাঞ্চল কী বলে। এদের এক্সিট পোল, আমার এক্স্যাক্ট পোল।”
নীতীশ-বনাম-লালু বিতর্ক
এক্সিট পোলের ফল আসার পর জেডিইউ-এর বরিষ্ঠ নেতা কে সি ত্যাগী দাবি করছেন, এই নির্বাচন ছিল লালু যাদবের ১৫ বছরের শাসন এবং নীতীশ কুমারের ২০ বছরের সুশাসন নিয়ে। তাঁর মতে, নীতীশের সুশাসনই জয়ী হচ্ছে এবং এনডিএ-র জয় নিশ্চিত।
প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ দল
সাবেক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এবং তাঁর নতুন দল জন সুরাজ পার্টি (JSP)-র জন্য এক্সিট পোলের ফল হতাশাজনক। এই সমীক্ষা অনুসারে, দলটি শূন্য থেকে সর্বাধিক দুটি আসন লাভ করতে পারে।
অপেক্ষা কেবল গণনার
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর (শুক্রবার) বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের ভোট গণনা শুরু হবে।



















