ব্যুরো নিউজ, ৯ এপ্রিল: ভূপতিনগর কাণ্ডে কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিল ভূপতিনগর পুলিশ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এন আই এ-এর আধিকারিকরা গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরের অর্জুন নগর গ্রামে। সেখানে বলাই মাইতি ও মনব্রত জানা নামক দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করার পর প্রথমে বলাই মাইতিকে গাড়িতে তোলা হয়, তারপর মনব্রত জানাকে গাড়িতে তোলার সময় উত্তেজিত জনতা আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর।
সিঙ্গুরে হাই ভোল্টেজ বৈঠক অভিষেকের
এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছিল সন্দেশখালিতে। সেখানে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি আধিকারিকরা। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় দুই ইডি কর্তার, ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। এমনকি ল্যাপটপও খোয়া যায় তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর এবার ২০২২ সালে ঘটা ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এন আই এ। সেই মতোই তদন্তে নেমে ভূপতিনগরের অর্জুন নগর গ্রামে অভিযান চালায় তদন্তকারি দল। সেখানেই ফের আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
হঠাৎ কী কারনে ED দফতরে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া? কোন মামলায় তলব?
ভূপতিনগর কাণ্ডে এন আই এ-এর আধিকারিকদের ওপর ‘হামলা’র ঘটনায় প্রশাসনিক রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে এনআইএ আধিকারিকদের ওপর হামলা-নিগ্রহের অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সেই রিপোর্টে এও উল্লেখ রয়েছে যে, এনআইএ অভিযানের প্রসঙ্গ আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে 'পুলিশমন্ত্রী' তিনি প্রথম থকেই বলে চলেছেন, কেন আগে থেকে পুলিশকে জানিয়ে এনআইএ অভিযান চালায়নি?