ব্যুরো নিউজ, ২৬ সেপ্টেম্বর :ভারত মহাকাশে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের দিকে অভিযান সফল করার পর এবার নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সাবমার্সিবল, মৎস্য ৬০০০ (MATSYA-6000) এবার ডুব দিতে চলেছে গভীর সমুদ্রে। পৃথ্বী বিজ্ঞান মন্ত্রক এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশান টেকনোলজি (NIOT) জানিয়েছে, সাবমার্সিবলটির বিভিন্ন অংশের জোড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন ‘ওয়েট টেস্ট’ এর প্রস্তুতি চলছে। আসন্ন অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বা নভেম্বরের শুরুতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নদিয়ার দুর্গাপুজো বিপর্যয়ের মুখে,কি নির্দেশ হাইকোর্টে
বিজ্ঞানীদের নতুন সৃষ্টি,
মৎস্য ৬০০০, হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর মৎস্য অবতারের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে, এটি ৬০০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ডুব দিতে সক্ষম। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার, যার সাথে তুলনা করলে বোঝা যায়, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কতটা গভীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সমুদ্রের নীচের অনেক স্থান এখনও অজানা, সেইসব অঞ্চলের রহস্যভেদে মৎস্য ৬০০০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজে,নতুন কিপারের সম্ভাবনা!
এই ডুবোযানে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম, নেভিগেশন সিস্টেম এবং হাই-রেজোলিউশন ইমেজিং প্রযুক্তি। অক্টোবরে চেন্নাই বন্দরে ১৫ মিটার গভীরতায় প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সক্ষমতা যাচাই করা হবে। ২০২৫ সালে শ্যালো ওয়েট টেস্ট এবং ২০২৬ সালে গভীর সমুদ্রে মানুষ ছাড়া পরীক্ষা করা হবে।
কমলা হ্যারিসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগঃডেমোক্র্যাটিক দফতরে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য
মৎস্য ৬০০০ চালু হলে, ভারতের গভীর সমুদ্র গবেষণার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এটি বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে যাতে তারা গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের অধ্যয়ন, খনিজ সম্পদের অন্বেষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারেন। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী সমাজের নজর এখন এই পরীক্ষার দিকে।