ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি :বৃহস্পতিবার, রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে অতিরিক্ত ছুটির, ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পরপর ছুটির সুবিধা পেয়ে গেছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ধর্মঘটে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়, কিন্তু যদি এক সপ্তাহে পরপর চার দিন সরকারি দফতর বন্ধ থাকে, তাহলে কর্মসংস্কৃতি কি নষ্ট হবে না?’’ তিনি আরো বলেন, রাজ্য সরকার বারবার দাবি করে যে এখানে ধর্মঘট হয় না, অথচ একের পর এক ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন দাবির ঝড়ঃ বাজেটের আগে উত্তেজনা তুঙ্গে
কর্মসংস্কৃতি নষ্টের আশঙ্কা
মলয় মুখোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারও ছুটি। তার পরের দিন, শনিবার যারা ছুটি পান, তাদেরও অফিসে না গিয়ে পরবর্তী সোমবার কাজে যেতে হবে। ফলে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরপর ছুটি মিলেছে। এতে কর্মসংস্কৃতির ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
অপরদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা চন্দন গড়াইও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের অতিরিক্ত ছুটির দরকার নেই, প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা দিন, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিন এবং স্কুল-অফিসগুলিতে লাখ লাখ শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করুন।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে কর্মসংস্কৃতি কি নষ্ট হচ্ছে না? রাজ্য সরকার তো বারবার বলছে যে ধর্মঘট থেকে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়।’’এমনিতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি থাকার কথা আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল, কারণ সেদিন পঞ্চানন বর্মার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছুটি ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনাঃ কি বললেন নির্মলা?
২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতরের প্রকাশিত ছুটির তালিকাতেও ১৪ ফেব্রুয়ারি শবেবরাতের ছুটি ছিল। তবে এই ছুটি কবে পড়বে, তা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং সেই অনুযায়ী ১৩ ফেব্রুয়ারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।এছাড়া, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য বাজেট পেশের দিকে নজর রেখেছেন। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, বাজেটে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হবে কিনা, সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা হবে কিনা, সেদিকে তাদের নজর রয়েছে। বর্তমানে, যারা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় আছেন, তারা ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন।