ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি :গত রাজ্য বাজেটে (২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য) রাজ্য সরকার মহিলা, যুব, দরিদ্র এবং কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল, যা সরকারি কর্মসূচিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আবাস প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে প্রশাসনিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বাজেটে এই প্রকল্পের আরও বিস্তার হতে পারে।
রাজ্য বাজেট ২০২৫ঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট
প্রশাসনিক মহলের ধারণা
গত ডিসেম্বর মাস থেকে নবান্ন আবাস প্রকল্পের আওতায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির অর্থ বরাদ্দ শুরু করেছে। মাথাপিছু ৬০ হাজার টাকা করে প্রায় ৭,২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। তবে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ৬০% বরাদ্দ না আসায় রাজ্যকে ৪০% অর্থ বরাদ্দ করতে হয়েছে। এখন দ্বিতীয় কিস্তির জন্য আরও ৭,২০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি, ১৬ লক্ষ নতুন উপভোক্তার জন্য বাড়ি তৈরির টাকা বরাদ্দ করতে হবে, যার জন্য প্রায় ১৯,২০০ কোটি টাকা প্রস্তুত রাখতে হবে রাজ্যকে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বাজেটে এই বরাদ্দের বিষয়টি থাকতে পারে এবং রাজ্যকে পঞ্চায়েত খাতে বিপুল অর্থের ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
এছাড়া, রাজ্য সরকার প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ২.২৬ কোটি উপভোক্তাকে ভাতা প্রদান করছে। প্রতিমাসে ২,৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়। আগামী বাজেটে যদি এই বরাদ্দে কোনো বৃদ্ধি না হয়, তবে সরকারের কাছে এই অর্থের সংস্থান রাখতে হবে। তবে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে যে, মূলধনী খাতে অর্থ বরাদ্দ কমানো হচ্ছে এবং এতে পরিকাঠামো খাতের বরাদ্দে সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি নিয়ে উত্তেজনাঃ কর্মসংস্কৃতি কি নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে?
এদিকে, রাজ্য প্রশাসন দাবি করছে, অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদনের (জিএসডিপি) নিরিখে রাজকোষ ঘাটতি কমানো হয়েছে। ২০২১-২২ সালে যে ঘাটতি ছিল ৩.৮০%, তা ২০২৩-২৪ সালে কমে ৩.৪৯% হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এটি ৩.৬৩% হতে পারে। সরকারের মতে, আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে এবং তা দেশীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।সব মিলিয়ে, আগামী বাজেটের মাধ্যমে রাজ্য সরকার আবাস প্রকল্প এবং অন্যান্য খাতে খরচের ভার কিভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
