লাবনী চৌধুরী, ১২ এপ্রিল: নববর্ষের আগে বাজারে মন্দা! কেন ধুঁকছে বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা?
ভোটের পর বাড়তে পারে মোবাইল রিচার্জ প্ল্যান! কিন্তু কেন?
পয়লা বৈশাখের দিন করুন এই ৫ টি কাজ! সংসারে উপচে পড়বে সুখ সমৃদ্ধি
একটা সময় ছিল যখন ক্যালেন্ডার আর মিষ্টির প্যাকেট নিতে নববর্ষ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় ভিড় জমত দোকানগুলিতে। কিন্তু এখন সময়-কাল, আদব- কায়দা, চাল- চলন সবই বলেছে। তাই মানুষের চাহিদাও বদলেছে অনেক। এখন মিষ্টির প্যাকেটের সঙ্গে নানা রকম উপহারই বেশি দিতে দেখা যায়। আর তাই যেনও আজকাল কার নয়া প্রজন্মের কাছে বেশি পছন্দের। অনেকেই বাড়ির দেওয়ালে ইয়া বড় বড় ক্যালেন্ডার ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন না। নানান রকম ইন্টেরিয়ার ডিজাইন করে ওয়াল পেন্টিং দিয়ে ঘর সাজানোর পড়ে পুরনো দিনের স্টাইলে ঘরে ক্যালেন্ডার রাখাকে ওল্ড ফ্যাশান বলেই মনে করেন অনেকে। তাই সময়ের সাথে সাথে ক্যালেন্ডারের চাহিদাও কমেছে অনেক। আর তার জল-জ্যান্ত প্রমান বড়বাজারে চীনা বাজার স্ট্রিটে ক্যালেন্ডার পট্টি।
একটা সময় সত্যিই ছিল যখন, এই সময়টা অর্থাৎ নববর্ষ ও অক্ষয় তৃতীয়ার আগে বড়বাজারে চীনা বাজার স্ট্রিটে ক্যালেন্ডার পট্টিতে পা গলানোর জায়গা থাকতো না। বছরের এই সময়টাই যে সিজেন। আর তাই চাপও থাকতোও খুব। রীতিমত নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজে ব্যস্ত থাকত কর্মীরা। প্রিন্টিং থেকে শুরু করে অর্ডার সাপ্লাই সবেই যেনও বিশাল ব্যস্ততা। তবে সেই ব্যাস্ততা এখন অতীত।
নববর্ষের আগে আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। কিন্তু কই সেই কর্ম ব্যাস্ত জীবন? না, তা আর নেই। কয়েক বছর ধরে মন্দা চলছে বাজারে। সারা বছরও একেবারে ফাঁকা মার্কেট। আর এই পিক টাইমেও তেমন কোনও বিক্রি-বাট্টা নেই। হাতে কয়েকটা মাত্র অর্ডার, যা দিয়ে সংসার চলেনা। এমনই জানাচ্ছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। তাই এই আজ করে সংসার চালানো আজ দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। কোনও মতে চলছে দিন। এভাবে চললে আর বেশি দিন নয়। খুব শিগগিরিই…