ব্যুরো নিউজ, ২৬ সেপ্টেম্বর :বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে উদ্বেগের স্রোত। এপার বাংলায় পুজোর আনন্দ যখন চরমে, ওপার বাংলায় তার চিত্র ভিন্ন। উদ্যোক্তাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, কিন্তু গত কয়েক বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরজি কর কাণ্ডঃরাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা
দুর্গাপুজো নিয়ে হুমকি
ইউনূস সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে পুজো উপলক্ষে কোনও সমস্যা হবে না। তবে মণ্ডপ ও দেবী প্রতিমা রক্ষার জন্য যা বলা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি তাতে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ইসলামপন্থী সংগঠনগুলির দ্বারা ক্রমাগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। খুলনা অঞ্চলে পুজো কমিটিগুলিকে উড়ো চিঠির মাধ্যমে জানানো হচ্ছে যে, পুজো আয়োজন করতে হলে লক্ষাধিক টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে বড় ধরনের পরিণতির ভয় দেখানো হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ও সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি খুনের অভিযুক্ত গ্রেফতার
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও খুলনা জেলার হিন্দু প্রতিনিধিরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ভয়ের পরিবেশে পুজোর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে এবং পুলিশ কার্যত নিস্ক্রিয়।
ট্রাম্পের উপর ফের হামলার চেষ্টা: ফ্লোরিডায় গল্ফ ক্লাবে গুলি, নিরাপদ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একতা কাউন্সিল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে এবং সরকারের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য একটি ৬ সদস্যের নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় পুজো উদযাপনে ভীতির মধ্যে পড়েছে, কিন্তু আশার আলো এখনও নিভেনি।