ব্যুরো নিউজ ১৫ই মে : বালোচ প্রতিনিধি মির ইয়ার বালোচ বুধবার পাকিস্তানের থেকে বালোচিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এই অঞ্চলের কয়েক দশকের সহিংসতা, জোরপূর্বক অন্তর্ধান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
X-এ একটি পোস্টে তিনি বলেন, বালোচিস্তানের জনগণ তাদের “জাতীয় রায়” দিয়েছে এবং বিশ্ব এই বিষয়ে আর নীরব থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, “তোমরা মরবে, আমরা বাঁচবো, আমরা প্রজন্ম বাঁচাতে বেরিয়েছি, এসো আমাদের সাথে যোগ দাও। পাকিস্তান-অধিকৃত বালোচিস্তানের বালোচ জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে এবং এটি তাদের জাতীয় রায় যে বালোচিস্তান পাকিস্তান নয় এবং বিশ্ব আর নীরব দর্শক থাকতে পারে না।”
তিনি ভারতীয় নাগরিক, বিশেষ করে গণমাধ্যম, ইউটিউবার এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রতি, বালোচদের “পাকিস্তানের নিজস্ব জনগণ” বলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বালোচ নেতা বলেন, “বালোচদের ভাষ্য!! প্রিয় ভারতীয় দেশপ্রেমিক মিডিয়া, ইউটিউব কমরেড, ভারত রক্ষায় লড়াই করা বুদ্ধিজীবীদের প্রতি অনুরোধ, বালোচদের ‘পাকিস্তানের নিজস্ব জনগণ’ হিসাবে উল্লেখ করবেন না। আমরা পাকিস্তানি নই, আমরা বালোচিস্তানি। পাকিস্তানের নিজস্ব জনগণ হল পাঞ্জাবিরা যারা কখনও নিজের রাষ্ট্রের দ্বারা বিমান হামলা, জোরপূর্বক অন্তর্ধান এবং গণহত্যার শিকার হয়নি।”
মির ইয়ার বালোচ পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoJK) নিয়ে ভারতের অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অঞ্চল খালি করার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মির ইয়ার বলেন, “১৪ মে ২০২৫ – বালোচিস্তান PoK খালি করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি ভারতের সিদ্ধান্তের পূর্ণ সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে PoK ত্যাগ করার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে ঢাকাতে তাদের ৯৩,০০০ সৈন্য আত্মসমর্পণের মতো আরেকটি অপমানের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ভারত পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম এবং যদি পাকিস্তান কর্ণপাত না করে, তবে একমাত্র পাকিস্তানি লোভী সেনা জেনারেলরাই রক্তপাতের জন্য দায়ী থাকবেন কারণ ইসলামাবাদ PoK-এর জনগণকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।”
তিনি বালোচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য ভারত ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি ও সমর্থনও চেয়েছেন।
মির ইয়ার বালোচের মতে, বিশ্বের বালোচিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের ভাষ্য গ্রহণ করা উচিত নয়, যা তিনি বলেন, বিদেশী শক্তির জড়িতিতে জোরপূর্বক সংযুক্ত করা হয়েছিল।
বালোচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক অন্তর্ধান, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ভিন্নমত দমন। পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী উভয়কেই নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নাগরিকরা প্রায়শই চলমান সংঘাতে ভোগান্তির শিকার হন, যেখানে গণমাধ্যমের সীমিত প্রবেশাধিকার বা আইনি জবাবদিহিতা সামান্যই থাকে। আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়লেও, অর্থপূর্ণ হস্তক্ষেপের অভাব রয়েছে।
